তফসিলিদের সংরক্ষণ না দিলে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হবে!
বিশ্ববিদ্যালয়ে তফসিলিদের সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের একটি দাবিকে কেন্দ্র করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: তফসিলিদের সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে চাপ আরও বাড়ল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে। বুধবার জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন সাফ জানিয়ে দিল, বিশ্ববিদ্যালয় যদি তফসিলিদের কোটা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করে তাহলে তাদের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই জানালেন জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের চেয়ার পার্সন রামশঙ্কর কাঠেরিয়া।
আরও পড়ুন-অমরনাথের পথে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা; ভূমিধসে মৃত কমপক্ষে ৫, আহত ৩
কাঠেরিয়া জানান, ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোনও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান কিনা তা এক মাসের মধ্যে প্রমাণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। তা যদি তারা না করতে পারে তাহলে সাংবিধানিক নিয়ম না মানার কারণে তাদের ইউজিসি বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।’
অারও পড়ুন-যুবতীর ব্রেস্ট টিউমারের চিকিত্সা করতে গিয়েই হল ‘ডাক্তার’-এর পর্দাফাঁস
উল্লেখ্য, বুধবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় তফসিলি কমিশনের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তফসিলিদের সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথের একটি দাবিকে কেন্দ্র করে। গত সপ্তাহে যোগী দাবি করেন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াকে তফসিলি জাতির পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণ দিতে হবে। যোগীর ওই মন্তব্যের পরই এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি লেখেন আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম। তার পরই বিতর্ক হাওয়া পেয়ে যায়। সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে একটি মামলাও চলেছে আদালতে।