মানুষ মরছে, শীতে কাঁপছে, জলসায় মজেছেন অখিলেশ
নক্ষত্রদের দ্যূতিতে ঝলসে যাচ্ছে মঞ্চ। মাধুরী দীক্ষিত, সলমন খানদের উষ্ণতা তারিয়ে উপভোগ করছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। শমলির ত্রাণ শিবিরে তখন আগুনে হাত পা সেঁকছেন ওরা।
নক্ষত্রদের দ্যূতিতে ঝলসে যাচ্ছে মঞ্চ। মাধুরী দীক্ষিত, সলমন খানদের উষ্ণতা তারিয়ে উপভোগ করছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। শমলির ত্রাণ শিবিরে তখন আগুনে হাত পা সেঁকছেন ওরা।
বড্ড শীত মুজফ্ফরনগরের ওই সর্বহারাদের বস্তিতে। জন্মের পরই মারা গিয়েছে চল্লিশটিরও বেশি সদ্যোজাত। কিন্তু তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কী যায় আসে ? তিনি মন দিয়েছেন আমোদ প্রমোদে। মুম্বইয়ে নয়। এই জলসা চলছে উত্তর প্রদেশের এক গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক গ্রামে এই জলসায় যোগ দিতেই উড়ে এসেছেন সলমন খান মাধুরী দীক্ষিতের মতো বলিউডের ডাকসাইটে তারকারা। বুধবার সকাল থেকেই তাই উত্তর প্রদেশের দেহাতে নেমে এসেছে একের পর এক প্রাইভেট জেট।
এই বলিউড তারকাদের নিয়েই অখিলেশ যাদবের পৈত্রিক গ্রাম সয়ফইয়ে উত্সবে মেতেছেন সমাজবাদী সরকারের তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। শাসক দলের নেতারাতো আছেনই। রয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি, আরএলডির বেশ কয়েকজন নেতাও। বলিউডি তারকারা যখন উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন অখিলেশ-মুলায়ম সিংয়ের গ্রামে। তখন তীব্র শীতে মুখ ঢেকেছে মুজফ্ফরনগরের শরনার্থী শিবির। ইতিমধ্যেই ওই শিবিরে শীতের প্রকোপে শিশুমৃত্যু ঘিরে কাঠগড়ায় উঠেছে অখিলেশ সরকার। খবরটা প্রচার হওয়ায় যন্ত্রণা যেন আরও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের। এবারে তাদের শিবির থেকে সরাতে রীতিমতো চাপ আসছে প্রশাসনের তরফে।
রাজ্যের একপ্রান্তে যখন হিংসা বিধ্বস্ত কতগুলো মানুষ খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মতো শরনার্থী শিবিরে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, তখন রাজ্যে নেতা মন্ত্রীরা উত্সবে গা ভাসানোয় শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। শুধু সইফইয়ের বলিউডি জলসাই নয়, এগারো জন মন্ত্রী সহ উত্তরপ্রদেশের মোট বাইশজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই উড়ে গিয়েছেন বিদেশ সফরে। পরিষদীয় রীতিনীতি শিখতে মন্ত্রী-বিধায়কদের বিদেশসফর নিয়েও চূড়ান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। তবে সমালোচনা যাই হোক আপাতত বলিউডি উষ্ণতায় হাঁত সেকে নিতে ব্যস্ত সয়ফইয়ে হাজির হওয়া নেতা মন্ত্রীরা। সেই ঝাঁকজমক থেকে কিছু দূরে বেঁচে থাকা একটু উষ্ণতা খোঁজা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে মুজফ্ফরনগর।