৫৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি মাত্র ৩১ লক্ষ টাকায় বিক্রি কেন করেন উদয়ন?
পালানোর তাড়া ছিল। তাই রায়পুরের ৫৫ লক্ষের সম্পত্তি মাত্র ৩১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় উদয়ন। লেনদেনেও অনিয়মের গন্ধ স্পষ্ট। সাধের বাগানেই মেরে পুঁতে দেবে ছেলে। রায়পুরের সুন্দরনগরে বাড়ি কেনার সময় একথা বোধহয় ভাবতেও পারেনি দাস দম্পতি। ২০০৮ সালে রায়পুরের সুন্দরনগরে ১৮০০ বর্গফুটের সম্পত্তি কেনে দাস দম্পতি।বাবা মায়ের সঙ্গেই রায়পুরের বাড়িতে থাকত উদয়ন, বলছেন প্রতিবেশীরা।২০০৯ সালে স্থানীয় কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় উদয়ন, শিক্ষকের নাম সুরেশ দুয়া। যদিও ভর্তির কয়েকদিন মধ্যেই কম্পিউটার ক্লাস বন্ধ করে দেয় সে, তারপর উধাও ছিল দীর্ঘদিন। উদয়ন জানিয়েছে ২০১১ সালে বাবা ও মাকে খুন করে বাড়ির বাগানে পুঁতে দেয় সে। সেই বছরে উদয়ন কী করেছিল কারও জানা নেই। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ফের সে যোগাযোগ করে কম্পিউটার শিক্ষক সুরেশ দুয়ার সঙ্গে। সুরেশ দুয়া উদয়নকে নিয়ে যায় সম্পত্তি ব্রোকার সন্দীপ শ্রীবাস্তবের কাছে। যাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল আইনজীবী হরিশ পাণ্ডের। হরিশ পাণ্ডে বাড়িটি কিনে নেন। সম্পত্তি বিক্রির তাড়া ছিল উদয়নের। কিন্তু, বাবা ও মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে না পেলে তার পক্ষে সম্পত্তি বিক্রি সম্ভব ছিল না। উদয়ন ঘুরপথে বাবা ও মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পায়।
ওয়েব ডেস্ক: পালানোর তাড়া ছিল। তাই রায়পুরের ৫৫ লক্ষের সম্পত্তি মাত্র ৩১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় উদয়ন। লেনদেনেও অনিয়মের গন্ধ স্পষ্ট। সাধের বাগানেই মেরে পুঁতে দেবে ছেলে। রায়পুরের সুন্দরনগরে বাড়ি কেনার সময় একথা বোধহয় ভাবতেও পারেনি দাস দম্পতি। ২০০৮ সালে রায়পুরের সুন্দরনগরে ১৮০০ বর্গফুটের সম্পত্তি কেনে দাস দম্পতি।বাবা মায়ের সঙ্গেই রায়পুরের বাড়িতে থাকত উদয়ন, বলছেন প্রতিবেশীরা।২০০৯ সালে স্থানীয় কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় উদয়ন, শিক্ষকের নাম সুরেশ দুয়া। যদিও ভর্তির কয়েকদিন মধ্যেই কম্পিউটার ক্লাস বন্ধ করে দেয় সে, তারপর উধাও ছিল দীর্ঘদিন। উদয়ন জানিয়েছে ২০১১ সালে বাবা ও মাকে খুন করে বাড়ির বাগানে পুঁতে দেয় সে। সেই বছরে উদয়ন কী করেছিল কারও জানা নেই। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ফের সে যোগাযোগ করে কম্পিউটার শিক্ষক সুরেশ দুয়ার সঙ্গে। সুরেশ দুয়া উদয়নকে নিয়ে যায় সম্পত্তি ব্রোকার সন্দীপ শ্রীবাস্তবের কাছে। যাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল আইনজীবী হরিশ পাণ্ডের। হরিশ পাণ্ডে বাড়িটি কিনে নেন। সম্পত্তি বিক্রির তাড়া ছিল উদয়নের। কিন্তু, বাবা ও মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে না পেলে তার পক্ষে সম্পত্তি বিক্রি সম্ভব ছিল না। উদয়ন ঘুরপথে বাবা ও মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পায়।
আরও পড়ুন তামিলনাড়ুতে ব্যাটন বদল, নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ভি কে শশীকলা
২০১৩ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বাবা ও মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পায় উদয়ন।২০১৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ওই দুটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে হোসাঙ্গাবাদ পুরসভা ২০১৩ সালের মার্চে উদয়নের সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায়। ৫৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি মাত্র ৩১ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয় উদয়ন।সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা চেকে নেয় উদয়ন, ২৮ লক্ষ টাকার লেনদেন হয় নগদে।কিন্তু, হরিশ পাণ্ডের দাবি, উদয়নের সঙ্গে কোনওদিন তার দেখা হয়নি। পুলিস জানতে পেরেছে উদয়ন হরিশকে বলে, তার এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা রয়েছে। আমেরিকা, ইতালি, দুবাইয়ে আটকে আছে নানা জিনিস। সে সব ছাড়ানোর জন্যই তার তাড়াতাড়ি টাকার দরকার। তবে হরিশ পাণ্ডেকেও ক্লিনচিট দিচ্ছে না পুলিস। উদয়ন কোন পথে তার বাবা মার ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করল? তাতে কি পেশায় আইনজীবী হরিশ পাণ্ডে কোনওভাবে সাহায্য করেছেন? হরিশ পাণ্ডে নির্দোষ হলে কে সাহায্য করল উদয়নকে? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন পুলিস আবাসনের মাটি খুঁড়তেই উঠে এল বস্তাভরা কঙ্কাল!