কসাভের ফাঁসি থেকে অক্সিজেন খুঁজছে সরকার!
আগামীকালই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। দুর্নীতি, এফডিআইসহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হবে ইউপিএ সরকারকে। গত কয়েকদিন ধরে এসব নিয়ে যখন উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি, তার ঠিক আগের দিনই আজমল কসাভের ফাঁসির খবরে তোলপাড় দেশজুড়ে। এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে বিরোধী দের কি কোনও বার্তা দিতে চাইছে কেন্দ্র। এ নিয়ে চলছে নানান বিশ্লেষণ।
আগামীকালই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। দুর্নীতি, এফডিআইসহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হবে ইউপিএ সরকারকে। গত কয়েকদিন ধরে এসব নিয়ে যখন উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি, তার ঠিক আগের দিনই আজমল কসাভের ফাঁসির খবরে তোলপাড় দেশজুড়ে। এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে বিরোধী দের কি কোনও বার্তা দিতে চাইছে কেন্দ্র। এ নিয়ে চলছে নানান বিশ্লেষণ।
মুম্বই হামলায় দোষী সাব্যস্ত আজমল কসাভের ফাঁসি নতুন করে সামনে নিয়ে এল সন্ত্রাসবাদ ইস্যুকে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সরকার যে কোনও আপোষ করতে চায় না, কসাভের ফাঁসিতে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে কেন্দ্র। তবে যে সময়ে এই প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হল, তখন রাজনৈতিকভাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি কেন্দ্রীয় সরকার। টেলিকম, কয়লা কেলেঙ্কারিসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, আকাশছোঁওয়া মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসে ভরতুকি কমানোর মত সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে কেন্দ্র। খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইউপিএ জোট ছেড়েছে সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। পদত্যাগ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রীরাও। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারের সমস্যা নেই, এমনই দাবি কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের। তবে অন্যান্য শরিকদের নিয়ে চিন্তা থাকছেই । বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সংসদে এফডিআই ইস্যুতে সরকারকে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বাম ও বিজেপি। সরকারের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, ভোটাভুটিতে গিয়ে সেটা প্রমাণ করাই বিরোধীদের লক্ষ্য।
একদিকে বিরোধীদের আক্রমণ, অন্যদিকে এসপি বা বিএসপির মতো মিত্র দলগুলি দোলাচলের মনোভাব অস্বস্তিতে রেখেছে কেন্দ্রকে। কসাভের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে সরব ছিলেন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে। তাঁর মৃত্যুর তিনদিনের মাথায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কেন্দ্র। এর ওপর দোরগোডায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। কসাভের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর না হলে গুজরাট নির্বাচনে তা ইস্যু করতে পারত বিজেপি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ফলে বিজেপির সামনে সেই সুযোগ আর রইল না। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এভাবেই বিরোধীদের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে চাইছে কংগ্রেস ?