কপিলের পাশ থেকে সরল এআইসিসি, স্বস্তিতে প্রদেশ কংগ্রেস
শেষপর্যন্ত কপিল সিব্বলের পাশ থেকে এআইসিসি সরে দাঁড়ানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল প্রদেশ কংগ্রেস। এরপরও যদি কপিল সিব্বল রাজ্যের মামলা করেন, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।
ব্যুরো: শেষপর্যন্ত কপিল সিব্বলের পাশ থেকে এআইসিসি সরে দাঁড়ানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল প্রদেশ কংগ্রেস। এরপরও যদি কপিল সিব্বল রাজ্যের মামলা করেন, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।
একই সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে লড়াই করতে চায় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এআইসিসির কপিল সিব্বলের পাশ থেকে সরে দাঁড়ানো। সারদা নিয়ে কংগ্রেস যখন আন্দোলনে রাস্তায়। তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাত। সুপ্রিম কোর্টে সারদা মামলা রাজ্য সরকারের হয়ে লড়তে রাজি হয়ে যান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র প্রতিবাদ করেন অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ দফতরে এসে বিক্ষোভও দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সোনিয়া গান্ধীর কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠান অধীর চৌধুরী। তারপরই শুরু হয়ে যায় জোট জল্পণা। সোনিয়া গান্ধীর থেকে অনুমতি নিয়েই কী মামলা লড়ছেন কপিল সিব্বল? তাহলে কী ফের খুলতে চলেছে জোটের দরজা? রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করে হাজারো প্রশ্ন। যদিও শেষপর্যন্ত এআইসিসির সিদ্ধান্ত শুনে স্বস্তিতে প্রদেশ নেতারা। এআইসিসির তরফে কপিল সিব্বলকে এই মামলা না গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থাত্ তৃণমূল কংগ্রেসকে কোনওভাবেই যে এআইসিসি জমি ছাড়তে নারাজ তাও স্পষ্ট এই সিদ্ধান্তে।
কংগ্রেসের যুক্তি, কপিল সিব্বলকে নিয়ে এতো হইচইয়ের কারণ তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেই। তাঁর মামলা গ্রহণের অর্থ, এআইসিসিও রয়েছে মমতার পাশে। কিন্তু এআইসিসির সিব্বলকে না বলায় এই জট অনেকটাই কেটে যাওয়ার মুখে। এবার কপিল সিব্বল মামলা লড়বেন কী লড়বেন না তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস।