Kerala | Minor Physical Assault Case: নারকীয় ঘটনা কেরালায়, প্রেমিকার সাহায্যেই তার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ প্রেমিকের!
অভিযুক্তরা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে, অতিরিক্ত ছয় মাসের কারাদণ্ড কার্যকর করা হবে, আদালত বলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, POCSO (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স) ক্ষেত্রে মায়েদের আইনি পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এমন ঘটনা খুবই বিরল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালার তিরুবনন্তপুরমে একজন মহিলাকে ৪০ বছর এবং ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করতে নিজের লিভ-ইন পার্টনারকে তিনি সাহায্য করেছিলেন। সেই সময়ে ওই নাবালিকার বয়স ছিল সাত বছর।
তিরুবনন্তপুরম স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত অভিযুক্তকে, ‘মাতৃত্বের অপমান’ হিসাবে গণ্য করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে সে কোন করুণার যোগ্য নয়। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করা হয়।
অভিযুক্তরা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে, অতিরিক্ত ছয় মাসের কারাদণ্ড কার্যকর করা হবে, আদালত বলেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, POCSO (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স) ক্ষেত্রে মায়েদের আইনি পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছে এমন ঘটনা খুবই বিরল।
ঘটনাটি মার্চ ২০১৮ এবং সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে ঘটেছিল। সেই সময় দোষী, তার মানসিকভাবে অসুস্থ স্বামীর থেকে সেপারেশন হয়ে নিজের প্রেমিক শিশুপালনের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। সেই প্রেমিক এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত। মহিলার ছোট মেয়ে, যার বয়স তখন ছিল সাত বছর, সেও এই দম্পতির সঙ্গে থাকতেন।
আরও পড়ুন: Bengaluru Illegal Abortion Racket: প্রতি বছর ৩০০ করে গর্ভপাত, পিশাচ ডাক্তারের হাড়হিম কীর্তি
আদালত বুঝেছে যে শিশুপালন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে, ফলে তার গোপনাঙ্গে আঘাত লেগেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, মেয়েটিকে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে শিশুপালন বেশ কয়েকবার যৌন নির্যাতন করে। প্রতিবারই তাঁকে সাহায্য করে ওই শিশহুটির মা।
নির্যাতিতার ১১ বছর বয়সী সৎ বোনকেও অভিযুক্তরা যৌন হেনস্থা করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পরে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই শিশুরা নিজেদের ঠাকুমার বাড়িতে পালিয়ে যাওয়ার পরে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ করে।
এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ঠাকুমা ওই দুই শিশুকে একটি হমে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তারা কাউন্সেলিং করার সময় এই ঘটনা প্রকাশ পায়।
ওই অভিযুক্ত মহিলার আরেক প্রেমিকও শিশুটিকে যৌন হেনস্থা করেছে এবং এই ঘটনায় পৃথক মামলা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পরে শিশুপালন আত্মহত্যা করে মারা যান এবং তাই শুধুমাত্র ওই নাবালিকার মাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মামলায় ২২ জন সাক্ষীকে জেরা ও ৩২টি নথি জমা করা হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)