৬৬ হাজার টাকা চিবিয়ে খেল কনৌজের ক্ষুধার্ত ছাগল
ছাগলে কিনা খায়! তা বলে ৬৬ হাজার টাকা খেয়ে ফেলবে! কি, অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা বটে। 'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন অনুসারে, ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার শিলুয়াপুর গ্রামে।
ওয়েব ডেস্ক: ছাগলে কিনা খায়! তা বলে ৬৬ হাজার টাকা খেয়ে ফেলবে! কি, অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা বটে। 'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন অনুসারে, ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার শিলুয়াপুর গ্রামে।
গৃহস্বামী সর্বেশ কুমার পেশায় কৃষক। পাকা ঘর বানানোর জন্য তিলে তিলে সঞ্চয় করেছিলেন টাকা। সেই টাকা কারওকে (ইমারতি দ্রব্য কেনার জন্য) দেওয়ার জন্য রেখেছিলেন প্যান্টের পকেটে। প্যান্ট ঝুলছিল ঘরে, আর তিনি ছিলেন স্নান ঘরে। স্নান সেরে যখন ফিরলেন, এসে দেখলেন পরম আদরে গোলাপী রঙের কিছু কাগজ চেবাচ্ছে বাড়ির পোষ্য ছাগলটি। একটু খেয়াল করতেই তাঁর নজরে আসে, সেই কাগজ গুলি আসলে তাঁর পকেটে থাকা ২ হাজার টাকার নোট। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন দরিদ্র সর্বেশ এবং ছাগলটিকে বিন্দু মাত্র আঘাত না করে তার মুখ থেকে অতি প্রিয় খাদ্যদ্রব্য সরানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয় না, ততক্ষণে অধিকাংশ দু'হাজারি নোটই ছাগলের পাকস্থলীতে, বাঁচাতে পারলেন কেবল ২টি নোট।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের অসংখ্য লোক ভিড় জমায় সর্বেশের বাড়িতে। প্রতিবেশীরা বিভিন্ন পরামর্শও দেন সর্বেশকে। কেউ বলেন, ছাগলটিকে কসাইখানায় পাঠিয়ে পেট থেকে নোট বের করতে এবং শাস্তি দিতে। আবার ছাগলটিকে পুলিসে দেওয়ার সুপরামর্শও আসে। কিন্তু সেসব 'বিবেচক' মানুষদের কথায় কান দেননি সর্বেশ। বরং বলেছেন, এসব তিনি কিছুই করতে পারবেন না। কারণ, পোষ্য ছাগলটিকে তিনি নিজের সন্তানের চখে দেখেন! সত্যি, ধন্য সর্বেশ। তিনি প্রমাণ করে ছাড়লেন, ছাগলের কাজ ছাগল করেছে, তা বলে কি মানুষকে তা শোভা পায়! (আরও পড়ুন- রোগীর গর্ভে ডাক্তারের শুক্রাণু, ডাঃ কারবাতের 'শকিং' কারবার)