Lalu Yadav | Rabri Yadav: অবশেষে স্বস্তি! দিল্লির কোর্টে জামিন পেলেন লালু-রাবড়ি
সমস্ত অভিযুক্তকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত জামিন বন্ড এবং একই পরিমাণ সিকিউরিটি দিয়ে জামিন নিতে হবে। আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গ্রেফতার ছাড়াই চার্জশিট জমা করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির একটি আদালত বুধবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং অন্য ১৪ জনকে চাকরির জন্য জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলায় জামিন দিয়েছে। সমস্ত অভিযুক্তকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত জামিন বন্ড এবং একই পরিমাণ সিকিউরিটি দিয়ে জামিন নিতে হবে। আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গ্রেফতার ছাড়াই চার্জশিট জমা করেছে।
এর আগে, সিবিআই তার চার্জশিটে দাবি করেছিল যে রেলে অনিয়মিত নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগের জন্য ভারতীয় রেলের নির্ধারিত নিয়ম এবং পদ্ধতি লঙ্ঘন করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে যে প্রার্থীরা রেলওয়েতে ‘বিকল্প’ হিসাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা সরাসরি বা তাদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়দের মাধ্যমে ‘অত্যধিক কম দামে’ লালুর পরিবারের সদস্যদের কাছে জমি বিক্রি করেছেন।
শনিবার, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এনসিআর, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের ২৪টি জায়গায় অভিযান চালায়। ফেডারেল এজেন্সি জানায় লালু এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত ৬০০ কোটি টাকার অপরাধের অর্থ খুঁজে পাওয়ার গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Derek O'Brien: সেরা সাংসদের পুরস্কার পেলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, কৃতজ্ঞতা জানালেন মমতাকে
ইডি জানিয়েছে, ‘অনুসন্ধানের ফলে এই সময়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার অপরাধের আয় শনাক্ত হয়েছে যা ৩৫০ কোটির টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন বিভিন্ন বেনামি রুটে করা হয়েছে’।
যদিও, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ইডি-র দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকা প্রকাশ করার জন্য সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লোকে বলছে আমার কাছ থেকে অনেক সম্পদ উদ্ধার হয়েছে, 'ঠেঙ্গা মিলা হ্যায়'। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারি, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকা জারি করুক নাহলে আমি করব’।
আরও পড়ুন: H3N2: ফের মৃত্যু! দেশ জুড়ে সকলের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে নতুন মারণ ভাইরাস H3N2...
অন্যদিকে গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় সংস্থা রাবড়ি দেবীকে তার পাটনার বাসভবনে এবং লালুকে তার মেয়ে ভারতীর বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। মঙ্গলবার লালুর ছেলে তেজস্বী যাদবকে তৃতীয়বার তলব করেছিল সিবিআই, তবে তিনি হাজির হতে ব্যর্থ হন।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে জমি কেলেঙ্কারি ঘটেছিল বলে অভিযোগ যখন লালু যাদব কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোটের রেলমন্ত্রী ছিলেন।