কেটে গেছে ৬ বছর, আজও ২৬/১১ আতঙ্ক বহন করে চলেছে গোটা দেশ
৬ বছর আগের এক কালান্তক দিন। হঠাতই আতঙ্কনগরীতে বদলে গিয়েছিল বাণিজ্যনগরী। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসের রক্তস্নান দেখেছিল মুম্বই। ছবছর পরেও অধরা ষড়যন্ত্রের মূল চক্রীরা।চার দিন ধরে চলা এক ভয়াবহ হত্যালীলা
মুম্বই: ৬ বছর আগের এক কালান্তক দিন। হঠাতই আতঙ্কনগরীতে বদলে গিয়েছিল বাণিজ্যনগরী। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসের রক্তস্নান দেখেছিল মুম্বই। ছবছর পরেও অধরা ষড়যন্ত্রের মূল চক্রীরা।চার দিন ধরে চলা এক ভয়াবহ হত্যালীলা
১০ বন্দুকবাজ যুবকের তাণ্ডব, ৮ টি জায়গায় হামলা, নির্বিচারে গুলি, বোমা, ১৬৬ জনের মৃত্যু, জখম ৩০৮ জন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর আক্ষরিক অর্থেই নরক থেকে সাঁতরে এসেছিল সন্ত্রাস। ঘটনার পর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, আজও সেই ক্ষত দগদগে।
ছত্রপতি শিবাজি বাস টার্মিনাস, লিওপোল্ড ক্যাফে, তাজ হোটেল, নরিম্যান হাউস, এই নামগুলো এখনও রক্তাক্ত অভিজ্ঞান।
মুম্বই হামলার নৃশংসতা শুধু এদেশেরই নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশের ধমণী এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছিল। ছবছর পর তার কতটা বিচার হল?
তথ্য বলছে কসাভের ফাঁসি ছাড়া সেঅর্থে আর কিছুই হয়নি।
ঘটনার পরে পরেই হামলার দায় অস্বীকার করে পাকিস্তান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের হাতে যেসব তথ্য-প্রমাণ তুলে দেয়, তাতে চাপ বাড়তে থাকে ইসলামাবাদের ওপর। তদন্তে জানা যায়, হামলার পুরো পরিকল্পনা লস্কর ই তইবা করাচি এবং থাট্টার ক্যাম্পে বসে করেছিল। হামলার সময় কসাভদের মোবাইল মারফত বার্তা আসে খোদ পাকিস্তান থেকে।
৭ জানুয়ারি ২০০৯
কসাভ যে পাকিস্তানের নাগরিক, প্রথম স্বীকার করে নেন পাকিস্তানের তত্কালীন তথ্যমন্ত্রী শেরি রহমান
১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রী রেহমান মালিক স্বীকার করে নেন মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রের অনেকটাই পাকিস্তানে হয়েছিল
হামলায় ধৃত একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কসাভ জেরায় স্বীকার করেছিল, পাক সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাহায্যে সংঘটিত হয়েছিল অপরাধ।