হিন্দু নেতা খুনের চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে তামিলনাড়ুতে গ্রফতার ৫

পুলিসের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে আইসিস সংগঠনের সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই যুবকদের।

Updated By: Sep 3, 2018, 03:52 PM IST
হিন্দু নেতা খুনের চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে তামিলনাড়ুতে গ্রফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দু নেতাদের খুনের চক্রান্তের অভিযোগে কোয়েম্বাত্তুরে ৫ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানাল তামিলনাড়ু পুলিস। শনিবার এই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্যারোলে মুক্ত এক অপরাধীর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেদিন কোয়েম্বাত্তুরে এসেছিলেন এই পাঁচ জন। পুলিসের দাবি, ধৃতেরা তামিলনাড়ুর দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু মক্কল কাটচি-র নেতাদের নিকেশ করতে এবং সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ ছড়াতে এসেছিল। এই পাঁচ অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে ধারালো ধাতব অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।

ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে 'সন্ত্রাসবাদী' না বলা হলেও, তাদের 'সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিপ্রায় রয়েছে' বলে উল্লেখ করেছে পুলিস। তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে আইসিস সংগঠনের সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই যুবকদের। পুলিসের আরও দাবি, ১৩ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীর দিন অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধানোর পরিকল্পনা ছিল এই যুবকদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৮ অগস্ট (মঙ্গলবার) দেশের একাধিক শহরে হানা দিয়ে কবি ও মানবাধিকার কর্মী ভারভারা রাও-সহ পাঁচ বিশিষ্টকে গ্রেফতার করে পুনা পুলিস। মাও যোগাযোগ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে হত্যার চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও জাতি হিংসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে ভারভারা-সহ ৫ মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে।

১৮১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও এলাকায় মারাঠা পেশোয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ইংরেজ ও দলিতদের যুগ্ম বাহিনী। সেই যুদ্ধে পরাজিত হয় পেশোয়ারা। সেই থেকেই দিনটিকে নিজেদের বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে দলিতরা। এ বঠর সেই দিবসের দ্বিশত বর্ষ উদযাপনের জন্য ভীমা কোরেগাঁও এসাকায় সমবেত হয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক দলিতরা। কিন্তু, কয়েকটি 'দক্ষিণপন্থী' সংগঠনের মতে, এই জয় ছিল ঔপনিবেশিক শক্তির জয়। ফলে এই জয়কে পালন করার বিরোধিতা করে তারা। এরপরই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং এক জনের প্রাণ হানি হয় বলে খবর। দলিতদের এই জমায়েতে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে।

বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিসের এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে গর্জে ও সমাজের একাংশ। তাদের দাবি, 'অলিখিত জরুরি অবস্থা' জারি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

এই পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতারির পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন আঅইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এরপরই দেশের শীর্ষ আদালত ধৃতদের 'গৃহবন্দি' করার নির্দেশ দেয় এবং বলে, "ভিন্ন মত গণতন্ত্রের সেফটি ভালভ। এটি না থাকলে প্রেসার কুকার ফেটে যেতে পারে"।

.