টেলিকম দুর্নীতিতে মামলার মুখে মারান ভ্রাতৃদ্বয়
টেলিকম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর জুলাই মাসে তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়েছিল সিবিআই। বুধবার অভিযুক্ত ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান এবং তাঁর দাদা কলানিধি মারানের বিরুদ্ধে স্পেকট্রাম বণ্টন কাণ্ডে অবৈধ আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
টেলিকম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর জুলাই মাসে তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়েছিল সিবিআই। এর পরই কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাঁকে। বুধবার অভিযুক্ত ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান এবং তাঁর দাদা কলানিধি মারানের বিরুদ্ধে স্পেকট্রাম বণ্টন কাণ্ডে অবৈধ আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ করুণানিধির প্রয়াত ভাগ্নে মুরাসলি মারানের দুই ছেলের বিরুদ্ধে ২০০৪-০৫ সালের এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ডিল-এ ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইডি-র তদন্তকারী দল।
দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, ২০০৪-০৫ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের টেলিকমমন্ত্রী হিসেবে তিনি এয়ারসেল সংস্থার কর্তা শিবশঙ্করণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাঁর মালিকানার অংশ মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিসকে বেচে দিতে বাধ্য করেছিলেন।
এর পরই বিধি ভেঙে স্পেকট্রাম পাইয়ে দেওয়া হয় এয়ারসেলকে। আর তার বিনিময়ে পরবর্তী কালে ম্যাক্সিস কর্তা টি আনন্দ কৃষ্ণন মারানদের পারিবারিক ব্যবসা সান টিভিতে ৫৯৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। গত বছর সিবিআই-কে দেওয়া জবানবন্দিতে দয়ানিধির বিরুদ্ধে `ভীতিপ্রদর্শন`-এর অভিযোগ এনেছিলেন শিবশঙ্করণ।
এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি খরচে ভূগর্ভস্থ কেব্ল লাইন বসিয়ে সান টিভির দফতরে কয়েক`শো টেলিফোন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে। মারান ভ্রাতৃদ্বয়ের পাশাপাশি ২০০১-০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে স্পেকট্রাম বণ্টনের সময় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন টেলিকম সচিব শ্যামল ঘোষ, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) জে আর গুপ্তা এবং কয়েকটি টেলিকম কোম্পানির বিরুদ্ধে `এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট` (ইসিআইআর) দাখিল করে মামলা শুরু করেছে ইডি` তদন্তকারী দল।