তামিলনাড়ুতে ভোট দিলেন ১৫০ জন মানসিক রোগী
সেই দলে ছিলেন ৫৬ জন মহিলাও ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিত্সা চলছে চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হসপিটালে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর একটি বুথে আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মতো নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন দেড়শোজন মানসিক রোগীও। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে তৈরি হল এই নজির।
তামিলনাড়ুতে লোকসভার আসন সংখ্যা ৩৯। নির্বাচনে বেআইনিভাবে টাকার ব্যবহারের জন্য ওই রাজ্যের ভেলোরে নির্বাচন স্থগিত করে দেয় কমিশন। বাকি ৩৮ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার নির্বাচন হয়।
আরও পড়ুন: শহিদ হেমন্তকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ
ওই কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে মধ্য চেন্নাই লোকসভা কেন্দ্রটি। সেখানে লড়াই হচ্ছে ডিএমকের দয়ানিধি মারানের সঙ্গে এনডিএ-র প্রার্থী পিএমকের স্যাম পলের। এছাড়াও ভোটের ময়দানে রয়েছেন কমল হাসানের দলের প্রার্থীও।
বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রেরই একটি বুথে ভোট দিয়েছেন দেড়শো জন মানসিক রোগী। সেই দলে ছিলেন ৫৬ জন মহিলাও ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিত্সা চলছে চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হসপিটালে।
আরও পড়ুন: আমার অভিশাপেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন হেমন্ত কারকারে : সাধ্বী প্রজ্ঞা
ভারতে সম্ভবত এই প্রথম মানসিক রোগীরা বুথের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটদান করলেন। ফলে এই ঘটনাকে নজির বলা যেতেই পারে। ওই ভোটদাতাদের মধ্যে ছিলেন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি ২০০১ সালে শেষবার ভোট দিয়েছিলেন। ফলে তিনি জানিয়েছেন, এবার ভোট দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত খুশি।
তবে তাঁদের ভোটদানের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। হাসপাতাল চত্বরেই মক পোলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই ভোট দিয়ে অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছেন ওই মানিসক হাসপাতালের রোগীরা।
আরও পড়ুন: আমি হিন্দু, আমার ধর্মকর্মের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না : যোগী আদিত্যনাথ
ওই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৫৬। কিন্তু তাঁদের মধ্যে দেড়শোজনই ভোট দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন বলে ফিট সার্টিফিকেট পান। তাই বৃহস্পতিবার ওই দেড়শোজনই ভোট দিয়েছেন।