অখিলেশ যাদবকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখল ১৫ বছরের কিশোরী!

মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। ১৪ জুন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর এলাকায় দুই কন্যার সামনে তাঁদের মাকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে মহিলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যেহেতু শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকেই এমনকি ওই মহিলার স্বামীও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাই ওই মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর দুই কন্যার ঠাঁই হয় একটি হোমে।

Updated By: Aug 13, 2016, 01:16 PM IST
অখিলেশ যাদবকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখল ১৫ বছরের কিশোরী!

ওয়েব ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। ১৪ জুন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর এলাকায় দুই কন্যার সামনে তাঁদের মাকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে মহিলার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যেহেতু শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকেই এমনকি ওই মহিলার স্বামীও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাই ওই মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর দুই কন্যার ঠাঁই হয় একটি হোমে।

দুই কিশোরী, ১৫ বছরের লতিকা বনশল এবং ১৪ বছরের তনয়ার সামনেই তাঁদের মাকে হত্যা করা হয়। পুলিসের কাছ থেকে সঠিক বিচার না পেয়ে, মায়ের হত্যার বিচার চেয়ে ১৫ বছরের লতিকা উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখে।

একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, লতিকা চিঠিতে লিখেছে, তার মায়ের উপর গত ১৫ বছর ধরে অত্যাচার করা হয়েছে। ছেলে সন্তানের জন্ম দিতে না পারার জন্য তাদের মায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হত। যখন তনয়ার জন্ম হয়, তখন তাকে, তার মা এবং তার ছোট বোন তনয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এবং তারা বাধ্য হয়েছিল বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে। ১৪ জুন তার ঠাকুমা তাদের কয়েকজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে তার মাকে হুমকি দিয়ে যায় যে, সে তার ছেলের বিয়ে খুব শীঘ্রই অন্য মহিলার সঙ্গে দেবে। এরপরেই লতিকার মায়ের সঙ্গে তার ঠাকুমার বচসা লেগে যায়, এবং ঠাকুমা তার মায়ের গায়ে আগুন দিয়ে দেয়।

লতিকা আরও লিখেছে যে, জ্বলন্ত অবস্থায় তার মা পুলিসে ফোন করেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই মহিলার ভাই তরুন জিন্দল জানিয়েছেন যে, তাঁর বোন ওই অবস্থায় তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি যতক্ষণে পুলিস নিয়ে বাড়িতে পৌঁছন, ততক্ষণে তাঁর বোনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

মর্মান্তিক এই ঘটনার পর বুলন্দশহর পুলিস ৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করে। ওই মহিলার স্বামীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে পুলিস জানায় যে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি ৭ জনের কোনও ভূমিকা ছিল না। ওই মহিলার আত্মহত্যা করেছেন।

.