ফের যোগীর রাজ্যে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ, লাথি-চড়-ঘুসির পর মুখে প্রস্রাব করে দিল পুলিস!
সাংবাদিক অমিত শর্মার অভিযোগ, দশ-পনেরো দিন আগে তাঁদের বিরুদ্ধে খবর করায় এমন হেনস্থা করা হয়। তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের যোগীর রাজ্যে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা। এ বার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হল সাংবাদিককে। শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিকের মুখে প্রসাব করে দেওয়া বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শামলি জেলায়।
জানা যাচ্ছে, শামলিতে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন অমিত শর্মা নামে একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিক। সে সময় তাঁর উপর চড়াও হয় রেল পুলিশের কয়েক জন। একটি ভিডিয়োতে সে ছবিও ফুটে উঠেছে। ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, সিভিল ড্রেসে ছিল রেল পুলিস। হঠাতই তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। লাথি, চড়, ঘুসি কিছুই বাদ যায়নি। সাংবাদিকের আরও অভিযোগ, তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গারদে পোরা হয়। সেখানে তাঁর জামা খুলে বেধড়ক পেটানো হয়। এমনকি সাংবাদিকের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া বলে অভিযোগ ওঠে।
#WATCH Shamli: GRP personnel thrash a journalist who was covering the goods train derailment near Dhimanpura tonight. He says, "They were in plain clothes. One hit my camera&it fell down. When I picked it up they hit&abused me. I was locked up, stripped&they urinated in my mouth" pic.twitter.com/nS4hiyFF1G
— ANI UP (@ANINewsUP) June 11, 2019
এ খবর পাওয়া পরই অন্যান্য সাংবাদিকরা ভিড় করেন পুলিস স্টেশনে। বিক্ষোভ জানানো হয়। উচ্চ পদস্থ পুলিস কর্তাদের যোগাযোগ করে অভিযোগ জানান সংবাদিকরা। কার্যত চাপে পড়ে আজ সকালে অমিত শর্মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, রেল পুলিস স্টেশন হাউস অফিসার ও এক হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক, আলোচনা হতে পারে রাহুলের পদ নিয়ে
সাংবাদিক অমিত শর্মার অভিযোগ, দশ-পনেরো দিন আগে তাঁদের বিরুদ্ধে খবর করায় এমন হেনস্থা করা হয়। তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ প্রশান্ত কানোজিয়া নামে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। ওই সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন, যে ভিডিয়োটিতে এক মহিলার দাবি ছিল আদিত্যনাথকে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় আর ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রশান্ত কানোজিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় যোগী সরকার।