আজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক, আলোচনা হতে পারে রাহুলের পদ নিয়ে

রাহুল যদিও অটল তাঁর সিদ্ধান্তে। তিনি ওয়ার্কিং কমিটিতে জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সভাপতি পদে কাউকে মনোনীত করা হচ্ছে, তিনি সেই দায়িত্ব সামলে যাবেন। 

Updated By: Jun 12, 2019, 12:47 PM IST
আজ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক, আলোচনা হতে পারে রাহুলের পদ নিয়ে
ফাইল চিত্র

জ্যোতির্ময় কর্মকার: দিল্লির গুরুদুয়ার রাখবগঞ্জে কংগ্রেসের ওয়াররুমে আজ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হতে চলেছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গুলাম নবি আজ়াদ, আহমেদ প্যাটেল, জয়রাম রমেশ, পি চিদাম্বরম-সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব থাকছেন ওই বৈঠকে। আগামী ২০ তারিখ শুরু হচ্ছে লোকসভার অধিবেশন। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের স্ট্যাটিজি নির্ধারণ হবে বৈঠকে।

রাহুল অটল তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে। তিনি ওয়ার্কিং কমিটিতে জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সভাপতি পদে কাউকে মনোনীত করা হচ্ছে, তিনি সেই দায়িত্ব সামলে যাবেন। পাশাপাশি, এ-ও প্রস্তাব দেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করা হোক। আজ এই বৈঠকে এই দুই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কংগ্রেসের নেতৃত্বের কাছে দুটো পথ খোলা রয়েছে। এক, অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে বসানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে। দুই, বিকল্প পথ হিসাবে কলেজিয়াম অব লিডার অর্থাত্ নেতৃত্বের একটি গ্রুপ তৈরি করা হতে পারে। ওই গ্রুপই দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্রে আরও খবর, রাহুল কংগ্রেসের সভাপতি না থাকলে, দলের নীচুস্তর থেকে সংগঠনের ব্যাপক অদবদল হতে পারে।

আরও পড়ুন- দু'চাকা ও তিন চাকা বন্ধের পরিকল্পনা অবাস্তব, জানাল বাজাজ

এ দিনের বৈঠকে শুধুই পূর্ব নির্ধারিত সংসদের স্ট্র্যাটিজি ঠিক হবে না, এর সঙ্গে কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মনস্থির করেন রাহুল গান্ধী। ২৫ মে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ইস্তফার প্রস্তাব রাখেন রাহুল। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ইস্তফার প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাঁদের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রাহুলকেই দলের ভার নিতে হবে।

শীর্ষ নেতৃত্বের উপর যারপরনাই ক্ষুদ্ধ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলে অন্দরে সে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনেও চিড় দেখা যায়। তেলঙ্গানায় রাতারাতি ১২ জন বিধায়ক যোগদান করে টিআরএস দলে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা শিবাসেনা ও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তড়িঘড়ি সেখানে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। কর্নাটকে সরকার চালাতে গিয়ে প্রায়শই শরিক জেডিএস-এর সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে কংগ্রেসের। তাল বুঝে বিজেপি দল ভাঙানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় দলের হাল ধরতে রাহুল গান্ধীর উপরই ভরসা রাখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।

গতবারের মতো এবারেরও বিরোধী দলের খেতাব অর্জন করতে পারেনি কংগ্রেস। উল্লেখ্য অন্যান্য বিরোধী দলও ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটিতে। আজ, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না সনিয়া গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম তাঁর কেন্দ্র রায়বেরেলি গিয়েছেন তিনি।

.