অবৈধ বিয়ে ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
অনলাইনে এবার বিয়ের জন্য আবেদন। অবৈধ বিয়ে ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। আপাতত রাজ্যের আটটি থানাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এ পরিষেবা শুরু হবে রাজ্যের সর্বত্র।
ওয়েব ডেস্ক: অনলাইনে এবার বিয়ের জন্য আবেদন। অবৈধ বিয়ে ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। আপাতত রাজ্যের আটটি থানাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এ পরিষেবা শুরু হবে রাজ্যের সর্বত্র।
সদ্য বিবাহিত জীবন। নাইট শোয়ে সিনেমা দেখার প্ল্যান। রোগী দেখে তাড়াহুড়ো করে বেরোতে গিয়েই হোঁচট খেলেন শিঞ্জিনি। মোবাইল বাজছে। প্রথমটা মনে হয়েছিল, বাড়ি থেকে ফোন। ভুল ভাঙল। থানা থেকে ফোন এসেছে। ফোনটা ধরতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। তাঁর স্বামীর প্রথম স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন দ্বিতীয় বিয়ের। অথচ স্বামীর পূর্ব বিবাহের কথা তো বিয়ের আগে টেরও পাননি শিঞ্জিনি! বাড়িতে আসা সুদর্শন যুবক সূর্যশেখরের প্রেমে পড়েছিলেন। আর এটাই তাঁর কাল হল! ধরা পড়েন শিঞ্জিনির স্বামী। জেরায় শিকার করে নেন, শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত মহিলাদের ফাঁসিয়ে বিয়ে করে টাকা আদায়ই তাঁর পেশা।
ঘর ভেঙেছে শিঞ্জিনির। এরকম ঘটনা আকছাড়ই ঘটে। বিয়ে করে বউদের পাচারেরও অভিযোগ ওঠে। তা ঠেকাতেই এবার আসরে রাজ্য সরকার। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করতে এবার থেকে অনলাইনেই আবেদন করা যাবে।
এতে কী সুবিধা? বিয়ের এক মাস আগে এই আবেদন জানাতে হবে। আবেদন জানানোর সময়ই পাত্র বা পাত্রীকে তাঁদের নাম, ঠিকানা থেকে শুরু করে প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্য ধরনের সচিত্র পরিচয়পত্র দিতে হবে। ডাটা বেস চেক করে পাত্র বা পাত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে হদিশ পাওয়া যাবে আবেদনের সময়ই। শুধু তাই নয়, কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও অনলাইন আবেদনে তা ধরা পড়ে যাবে। আপাতত অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মোট আটটি থানাকে। এগুলি হল কসবা, তিলজলা, যাদবপুর, পূর্ব যাদবপুর এবং হুগলির চারটি থানা।
রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট বিয়ের বৈধতা দেবে, এই নিয়ম চালুর পর অবৈধ বিয়ে বা কম বয়সে বিয়ে অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে। অনলাইনের রেজিস্ট্রি বিবাহের আবেদন সেই বিষয়টিকেই আরও জোরদার করল।