Shiva Shakti Aksh Rekha: ভারত জুড়ে একই সরলরেখায় শিবমন্দির? জেনে নিন 'শিবশক্তিরেখা'র গভীর রহস্য...
Mysterious Shiva Shakti Aksh Rekha: বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের বিবাদ আজকের নয়। কিন্তু ভারতে কয়েকটি শিবমন্দিরের সঙ্গে বহুদিন আগেই বিজ্ঞানের যোগাযোগ আবিষ্কার করা গিয়েছে। বিজ্ঞানের যখন কোনও বিকাশই ঘটেনি, সেই সময়ে কোন আশ্চর্য বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রাচীন ভারতের মানুষ একই সরলরেখায় ভারতজুড়ে মন্দির বানালেন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের বিবাদ আজকের নয়। কিন্তু ভারতের কয়েকটি শিবমন্দিরের সঙ্গে বহুদিন আগেই বিজ্ঞানের যোগাযোগ আবিষ্কার করা গিয়েছে। তা হল, বিজ্ঞানের যখন কোনও বিকাশই ঘটেনি, সেই সময়ে কোন আশ্চর্য বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রাচীন ভারতের মানুষ একই সরলরেখায় ভারতজুড়ে মন্দির বানালেন!
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে বিরল রাজভঙ্গ রাজযোগ! কীভাবে হাতে টাকা এসে পড়বে বুঝতেই পারবেন না এই রাশির জাতকেরা...
বিস্ময়কর! কিন্তু এমনই ঘটেছে বহুদিন আগে। এবং তা নিয়ে বহু চর্চাও হয়েছে। তবে কোনও রহস্যভেদ হয়নি। যদিও একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে, এখানে ধর্ম আর বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটেছে। মেলবন্ধন ঘটেছে একটি রেখায়। সে রেখাটির পোশাকি নাম 'শিবশক্তিঅক্ষরেখা' বা 'শিবশক্তিরেখা'।
কোন কোন মন্দির অবস্থিত এই 'শিবশক্তিরেখা'য়? নীচে সেই মন্দিরগুলির নাম লেখা হল--
১। কেদারনাথ (উত্তরাখন্ড)
২। শ্রীকালহস্তী (অন্ধ্রপ্রদেশ)
৩। একাম্বরনাথ (কাঞ্চি)
৪। থিরুবনমালাই (তামিলনাড়ু)
৫। থিরুবেনবক্কম (তামিলনাড়ু)
৬। চিদাম্বরম নটরাজ (তামিলনাড়ু)
৭। রামেশ্বরম (তামিলনাড়ু)
৮। কালেশ্বর মুক্তেশ্বর স্বামী (তেলেঙ্গানা)
আশ্চর্যজনক ভাবে এটাই সত্য যে, এই মন্দিরগুলি সবই একই দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত! সেটি ৭৯° দ্রাঘিমা রেখা। কোনও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, জিপিএস বা অনুরূপ কৃৎকৌশল ছাড়াই তখনকার স্থপতিরা শত শত কিলোমিটার দূরবর্তী এতগুলি মন্দিরকে একই দ্রাঘিমারেখায় কীভাবে স্থাপন করলেন! প্রত্যেকটি মন্দিরের পৃথক দ্রাঘিমাংশ দেখুন--
আরও পড়ুন: Brahma Yoga: ব্রহ্মযোগে ভাগ্যের বিপুল উন্নতি এই রাশির জাতকদের, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে উজ্জ্বল...
১। কেদারনাথ: ৭৯.০৬৬৯°।
২। শ্রীকলহস্তী: ৭৯.৭০৩৭°।
৩। একাম্বরনাথ: ৭৯.৭০৩৬°।
৪। তিরুবনমালাই ৭৯.০৭৪৭°।
৫। থিরুবেনবক্কম: ৭৮.৭১০৮।
৬। চিদাম্বরম নটরাজ: ৭৯.৬৯৫৪°।
৭। রামেশ্বরম: ৭৯.৩১২৯°।
৮। কালেশ্বর মুক্তেশ্বর স্বামী: ৭৯.৯০৬৭°।
মন্দিরগুলি আজ থেকে কম-বেশি হাজারতিনেক বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময়ে এসব স্থানের অক্ষাংশ বা দ্রাঘিমাংশ মাপার মতো কোনও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ছিল না, ছিল না জিপিএস। সেই সময়ে এতগুলি মন্দির এত নির্ভুলভাবে একই সরলরেখায় স্থাপন করা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল, তা আজও বিস্ময়।