আপনিও ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার স্বীকার হননি তো?
আপনি কি কাছের মানুষের ফোন নম্বর ডায়াল করার সময় নম্বর খুঁজে ডায়াল করেন? নাকি ডিরেক্ট নম্বর লিখে ডায়াল করেন? কিংবা যে কোনও ছোট তথ্যের জন্য কি আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়? তাহলে কিন্তু খুব সাবধান! আপনিও কিন্তু ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার স্বীকার হয়েছেন। সমীক্ষা থেকে জানতে পারা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে লোপ পাচ্ছে স্মৃতি। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ নিজের দরকারি সমস্ত তথ্য, সময়, দিন সব কিছুই সেভ করে রাখেন নিজেদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা স্মার্ট ফোনে। তাই প্রয়োজনীয় তথ্য মাথায় রেখে মাথা জ্যাম করার দরকার পরে না। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, স্মৃতিভ্রংশতার কারণে সব থেকে বেশি ভুগছে টিনেজার অথবা সদ্য প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া ছেলে-মেয়েরা। কারণ জন্ম থেকেই তাদের হাতে থাকে স্মার্ট ফোন অথবা ট্যাব। শুধুমাত্র আঙুলের একটা স্পর্শের মাধ্যমেই গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন তথ্য হাজির হয়ে যায় তাদের সামনে।
ওয়েব ডেস্ক: আপনি কি কাছের মানুষের ফোন নম্বর ডায়াল করার সময় নম্বর খুঁজে ডায়াল করেন? নাকি ডিরেক্ট নম্বর লিখে ডায়াল করেন? কিংবা যে কোনও ছোট তথ্যের জন্য কি আপনাকে ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়? তাহলে কিন্তু খুব সাবধান! আপনিও কিন্তু ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার স্বীকার হয়েছেন। সমীক্ষা থেকে জানতে পারা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে লোপ পাচ্ছে স্মৃতি। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ নিজের দরকারি সমস্ত তথ্য, সময়, দিন সব কিছুই সেভ করে রাখেন নিজেদের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা স্মার্ট ফোনে। তাই প্রয়োজনীয় তথ্য মাথায় রেখে মাথা জ্যাম করার দরকার পরে না। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, স্মৃতিভ্রংশতার কারণে সব থেকে বেশি ভুগছে টিনেজার অথবা সদ্য প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া ছেলে-মেয়েরা। কারণ জন্ম থেকেই তাদের হাতে থাকে স্মার্ট ফোন অথবা ট্যাব। শুধুমাত্র আঙুলের একটা স্পর্শের মাধ্যমেই গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন তথ্য হাজির হয়ে যায় তাদের সামনে।
#ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতার ৫টা লক্ষণ
১. প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য ডেক্সটপ, ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোনে সেভ করে রাখার প্রবণতা।
২. নিজের ফোন অথবা ল্যাপটপের সঙ্গে দিনের সব থেকে বেশি সময় কাটানো।
৩. সামনা সামনি কথা বলার থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে কথা বলা। একে ওপরের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে ডেট করা।
৪. অফিসে বা বাড়িতে কাজের ডেডলাইনের কথা ফোনের মধ্যে সেভ করে রাখা। এমনকি কাজের সময় অথবা বাজারে গিয়ে কোনও জিনিসের কথা ভুলে গেলে চট করে ফোন অথবা ট্যাব থেকে দেখে নেওয়া।
৫. আপনার ফোন অথবা ট্যাব ছাড়া এক মুহূর্ত থাকার কথা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। এমনকি যেখানে ফোনের ডাটা অন করা সম্ভব হয় না সেখানে আপনার নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগে।
#ডিজিটাল স্মৃতিভ্রংশতা রোধের উপায়
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে বেশি কথা না বলে সামনা সামনি কথা বলুন সকলের সঙ্গে। কারোর মনের ভাব বোঝার জন্য সামনা সামনি কথা বলা খুবই প্রয়োজনীয়। কিছু নতুন তথ্য জানার জন্য অবশ্যই ইন্টারনেটের সাহায্য নিন। কিন্তু ইন্টারনেটকেই আপনার অবসর যাপনের পন্থা বানিয়ে নেবেন না। ইন্টারনেট অথবা আপনার ফোনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্যদের গুরুত্বহীণ ভেবে নেবেন না।