Overweight: পেটে নয়, খিদে এঁদের মাথায়! বেশি খান বলে ব্যঙ্গ করবেন না স্থূলকায়দের...
Overweight: মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস রিজিয়ন আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা তুলনামূলক ভাবে একটু স্থূল বা ওভারওয়েট, তাঁদের মস্তিষ্কের এই হাইপোথ্যালামাস রিজিয়নটি স্বাভাবিক ওজনসম্পন্ন মানুষদের তুলনায় একটু বেশি আকৃতির হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস রিজিয়ন আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা তুলনামূলক ভাবে একটু স্থূল বা ওভারওয়েট, তাঁদের মস্তিষ্কের এই হাইপোথ্যালামাস রিজিয়নটি স্বাভাবিক ওজনসম্পন্ন মানুষদের তুলনায় একটু বেশি আকৃতির হয়।
আরও পড়ুন: চলছে ভয়ংকর গুরুচণ্ডাল যোগ! দেখে নিন কোন রাশির জাতকদের অত্যন্ত সাবধানে চলতে হবে...
কথা হল, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মস্তিষ্কের গঠনের যে নিবিড় সম্পর্ক আছে, এটাই হল সাম্প্রতিক আবিষ্কারের মূল কথা। ফলে মস্তিষ্কের গঠনের সঙ্গে যোগ থাকছে বডি ওয়েটেরও। কেননা, খাদ্যগ্রহণ কম বা বেশি হলে তার সঙ্গে তাল রেখে কেউ রোগা বা মোটা হন।
পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে ১৯০ কোটি ওভারওয়েট মানুষ আছেন। ব্রিটেনে প্রাপ্তবয়স্কদের দুই-তৃতীয়াংশই স্থূল। এই স্থূলত্ব টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং মানসিক রোগ পর্যন্তও ডেকে আনে। এ সবের কারণে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন অনুভব করেছেন। তাঁরা গবেষণাও করেছেন।
কী বলছে সেই গবেষণা?
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামিক সাব-রিজিয়নই খিদে অনুভব করার হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। খিদে অনুভব করা এবং খাওয়া-- সবটাই এই মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামিক সাব-রিজিয়নের খেলা।
এই ধরনের গবেষণা এর আগে পশুদের উপরও করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে হাই-ফ্যাট ডায়েট এদের মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে। ইনসুলিন ক্ষরণ বন্ধ হয়। তখন শরীর মোটা হতে থাকে। আর ওদিকে ওই প্রদাহে মস্তিষ্কের আকারও বাড়তে থাকে। ফলে আরও খিদে পায়। সংশ্লিষ্ট পশুটি আরও খায়, আরও মোটা হয়।
আরও পড়ুন: Bhadra Raj Yoga: তৈরি হচ্ছে বিরল ভাদ্র রাজযোগ! বিপুল আর্থিক লাভ এই রাশির জাতকদের...
ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের গবেষক ড. স্টেফানি ব্রাউন বলেছেন, আমরা জানি, আমরা কতটা খাবার খাব তা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে হাইপোথ্যালামাস কত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা এতই সূক্ষ্ম যে, কোনও রকম স্ক্যানে এটা ধরা পড়ে না। তবে এখন আরও ব্যাপক ও গভীর গবেষণার জেরে এসব প্রকাশ্যে আসছে।