কোয়ালাদের প্রেমের উপাখ্যান...
ভালবাসার অনেক নাম, অনেক রকম। শুধু মানুষ নয়, এই চার অক্ষের শব্দের প্রতি আসক্ত গোটা প্রাণী জগতই। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সঙ্গীর সঙ্গে প্রেমের বিশেষ এক পন্থা ধরেই সাধারণত এগোতে ভালবাসে। অস্ট্রেলিয়ার ছোট্টখাট্ট মিষ্টি চেহারার কোয়েলা ভল্লুকদের লভ লাইফ (প্রেম জীবন) নিয়ে গবেষণা করেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের এক দল। মিলনের সময় পুরুষ কোয়েলাদের অদ্ভুত কিছু আচরণ চোখে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। পুরুষ কোয়ালারা সঙ্গীনীদের সঙ্গে মিলনের সময় হাপরের মত শব্দ করতে থাকে। যৌন প্রতিযোগীদের সঙ্গে সব সকম সংঘাত এড়িয়ে সঙ্গিনীদের আকৃষ্ট করতেই এই ধরণের শব্দ করে তারা।
ওয়েব ডেস্ক: ভালবাসার অনেক নাম, অনেক রকম। শুধু মানুষ নয়, এই চার অক্ষের শব্দের প্রতি আসক্ত গোটা প্রাণী জগতই। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সঙ্গীর সঙ্গে প্রেমের বিশেষ এক পন্থা ধরেই সাধারণত এগোতে ভালবাসে। অস্ট্রেলিয়ার ছোট্টখাট্ট মিষ্টি চেহারার কোয়েলা ভল্লুকদের লভ লাইফ (প্রেম জীবন) নিয়ে গবেষণা করেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের এক দল। মিলনের সময় পুরুষ কোয়েলাদের অদ্ভুত কিছু আচরণ চোখে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। পুরুষ কোয়ালারা সঙ্গীনীদের সঙ্গে মিলনের সময় হাপরের মত শব্দ করতে থাকে। যৌন প্রতিযোগীদের সঙ্গে সব সকম সংঘাত এড়িয়ে সঙ্গিনীদের আকৃষ্ট করতেই এই ধরণের শব্দ করে তারা।
কুইনসল্যান্ড সেন্ট্রাল কোস্টে বন্য কোয়ালাদের বিশাল একটি দলের আচরণ দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিনি এবং জাপানি গবেষকদের একটি দল।
মিষ্টি চেহারার কোয়ালারা বিভিন্ন ধরণের শব্দ করতে সক্ষম। সময় বিশেষে তারা আর্তনাদও করে বিভিন্ন স্বরে।
''ঝগড়ার সময় মানুষ যেমন গলার আওয়াজ চড়ায়, পুরুষ কোয়ালারাও মিলনের সময় গলা থেকে উচ্চ স্বরে আওয়াজ করতে থাকে। এই ভাবে আসলের তারা অন্য পুরুষ কোয়ালাদের নিজেদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দেয়, যৌন প্রতিদ্বন্ধীদের সঙ্গে যে কোনও ধরণের বিরোধ এড়িয়ে চলতে চায়।'' জানিয়েছেন গবেষণাটির প্রজেক্ট চিফ বিল এলিস।
তিনি জানিয়েছেন ''গলার আওয়ার বাড়িয়ে দিয়ে একটি পুরুষ কোয়ালা অন্য পুরুষ কোয়ালাদের বুঝিয়ে দিতে চায় তারা অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। এবং মিলনকালে তার সঙ্গিনীর থেকে তফাতে থাকাই অন্যদের পক্ষে সমীচীন হবে।''
একই সঙ্গে গলার বেলোর মাধ্যমে তারা সঙ্গিনীকে আকর্ষিত করার চেষ্টা করে।
এলিস জানিয়েছেন এত জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও কোয়ালা ভাল্লুকদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত খুব কম জানা গেছে। কোয়ালেদের মেটিং বিহেবিয়ার নিয়েও ধারণা এখনও পর্যন্ত খুব একটা স্পষ্ট নয়।
আগে ধারণা ছিল মেটিং সিসযে কোয়ালা ভাল্লুকরা নিজেদের মধ্যে বেশি মাত্রায় মারামারি করে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে পুরুষ কোয়ালারা সাধারণত সংঘাতের পথ এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করে।