ভালবাসা দিন আর পান এই ৬টি সহজ উপায়ে

প্রেমে পড়েনি এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। দুনিয়ায় শত কোটি প্রেমিক/প্রেমিকার মধ্যে তবু দারুণ ভাল হয়ে ওঠা খুব কঠিন। কোটি কোটি প্রেমিক/প্রেমিকার মাঝে নিজেকে আলাদ করে চিনিয়ে দেবেন কী করে? পড়ুন ৬টি সহজ উপায়--

Updated By: Dec 21, 2015, 02:14 PM IST
ভালবাসা দিন আর পান এই ৬টি সহজ উপায়ে

ওয়েব ডেস্ক: প্রেমে পড়েনি এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। দুনিয়ায় শত কোটি প্রেমিক/প্রেমিকার মধ্যে তবু দারুণ ভাল হয়ে ওঠা খুব কঠিন। কোটি কোটি প্রেমিক/প্রেমিকার মাঝে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়ে দেবেন কী করে? পড়ুন ৬টি সহজ উপায়--

১) কথায় কথায় আমি নয়, বলার অভ্যাস করুন আমরা-ভাল প্রেমিক হতে হলে আমি কথাটাকে একটু পরিবর্তন করে আমরায় নিয়ে যেতে হবে। আমি এটা ভালবাসি, আমার ওটা ভাললাগে না, আমি এটা খাব না। ভাল প্রেমিক হতে হলে এসব সবসময় বলা বন্ধ করুন। বলুন আমরা ওখানে যাব, আমাদের ওটা করা উচিত নয়, আমাদের এটা ভাল লাগে। দেখবেন এই ছোট্ট পরিবর্তনটা আপনার সঙ্গীর ভাল লাগবে। আসলে আমি কথাটা শুধু আমারই ভাললাগে। যখনই আপনি আপনার বাইরে কারও মন জিততে চান তখন আমি নয় তুমি, তোমরা, আমরায় যেতে হয়।

২) সত্‍ হওয়ার চেষ্টা করুন, তবে নিষ্ঠুর সত্যি এড়িয়ে চলুন--মন খুলে কথা বলা মানুষের জয় সর্বত্র। মন থেকে কথা বলা মানুষেরও জয় সর্বত্র। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে মন থেকে কথা বলুন। যদি কোনও ভুল করে থাকেন স্বীকার করে নিন। দেখবেন ভুল স্বীকার আপনার তো ভাল লাগবেই, আপনার সঙ্গীরও অজান্তে অনেকটা মন জয় করে নিতে পারবেন। তবে একটা ছোট্ট টিপস। নিষ্ঠুর সত্যি বলতে যাবেন না। হয়তো আপনার সঙ্গীকে একটা বিশেষ রঙের জামা, প্যান্ট পরলে ভাল দেখায় না। কিন্তু শুধু আপনার ভাল লাগবে বলেই সে সেটা পরে এলো। আপনি কিন্তু মুখের ওপর 'খারাপ লাগছে' বলে দেবেন না। খারাপকে ভালভাবে বুঝিয়ে বললে সেটা একদিন ভাল হতে বাধ্য। এই কথাটা ভুলে যাবেন না।

৩) সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন--ভালবাসার একদম বেসিক কথা হল পারস্পরিক বোঝাপড়া। আপনি আপনার সঙ্গীকে যত ভাল বুঝতে পারবেন, তত ভাল প্রেমিক/প্রেমিকা হবেন আপনি।  নিজের মত করে বোঝার চেষ্টা করতে যাবেন না। নিজের তুলাদণ্ড দিয়ে অন্যকে মাপাটা ভুল। আগে বুঝুন সে কী করতে চায়, কীভাবে সে বড় হয়েছে, কত কষ্ট সে করেছে। সব প্রশ্নের জবাব পেলে তারপর তার মত করে বোঝার চেষ্টা করুন। সঙ্গীকে বুঝতে হলে তাকে তো সময় দেবেনই, নিজেকেও সময় দিন।

৪) কখনও শিশু, কখনও অভিভাবক, আর সবসময় বন্ধু হন- প্রেমিক/প্রেমিকার মানে কিন্তু ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড। প্রেমিক হয়ে কখনও শিশুসুলভ আচরণ করুন, প্রয়োজনে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করুন। ধরুন কোথাও ঘুরতে গেলেন সফরের সময় শিশুর মত উচ্ছ্বাস দেখান। আবার গিয়ে হয়তো দেখলেন এখন অভিভাবক হওয়ার প্রয়োজন, তখন অভিভাবক হলেন। কিন্তু সবসময় বন্ধু থাকুন। দেখবেন কদিন পর আপনাকে সে নিজেই বলবে, 'তোমার মত প্রেমিক/প্রেমিকা হয় না।'

৫) সঙ্গীর স্বপ্নগুলোকে নিজের বলে ভাবতে শুরু করুন--সঙ্গীর স্বপ্নগুলোকে নিজের বলে ভাবুন। হয়তো সে লেখিকা হতে চায়। আপনি হয়তো বড় ইঞ্জিনিয়ার বা কল সেন্টারে চাকরি করেন। লেখা জিনিসটা আপনার আসে না, বা ভাল লাগেও না। কিন্তু আপনি যখন কাউকে ভালবাসেন, আসলে শুধু তাকে নয় তাঁর ভালবাসাকেও ভালবাসেন। এটাই সত্যি। তাহলে আপনার সঙ্গীর স্বপ্নগুলোক নিজের বলে ভাবুন। আপনি যদি সেটাই দক্ষ নাও হন, তাহলেও চেষ্টা করুন কোনও ভাবে আপনার সঙ্গী যে স্বপ্নটা দেখছে তাতে আপনি কীভাবে উত্‍সাহ দিতে পারেন।

৬) হাসুন, হাসান- সম্পর্কে যত কঠিন পরিস্থিতিই হোক হাসতে ভুল যাবেন না। হাসি আসলে পজেটিভি এনার্জি ছড়িয়ে দেয়। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে হাসি মুখে যান। দেখবেন সম্পর্কটা অনেক সহজ হয়েছে, সমস্যাগুলো সমাধানের হাইওয়েতে হু হু করে ছুটছে। আর হ্যাঁ, হাসানোর চেষ্টাও করুন। হাসি হল প্রেমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

.