Basanti Puja: বাসন্তীপুজোয় ১০০ বছর পরে বিরল তিথি-যোগ এবার! জেনে নিন সৌভাগ্যের কথা...
Basanti Puja: আর ক'দিন পরেই শুরু হতে চলেছে 'দুর্গাপুজো'! বাসন্তী দুর্গাপুজো। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পুজোই বাঙালির প্রকৃত দুর্গাপুজো। যদিও একালে দুর্গাপুজো বলতে মানুষ আশ্বিন শুক্লপক্ষের দুর্গাপুজোকেই বোঝেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর ক'দিন পরেই শুরু হতে চলেছে 'দুর্গাপুজো'! ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পুজোই (Basanti Puja) বাঙালির প্রকৃত দুর্গাপুজো (durga puja)। যদিও একালে দুর্গাপুজো বলতে মানুষ আশ্বিন শুক্লপক্ষের দুর্গাপুজোকেই বোঝেন।
১১০ বছর পর এবারে নবরাত্রিতে ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে চৈত্র নবরাত্রির উৎসব শুরু হয়। চৈত্র নবরাত্রির শুরুতে গ্রহ সংস্থানের রাজা হবেন বুধ এবং মন্ত্রী শুক্র। এমন ঘটলে সামগ্রিক ভাবে প্রায় সকলের কপালেই সৌভাগ্য ঝরে পড়বে। সারা বছর ব্যবসায়, শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি দেখা যাবে এবং জীবনে সুখসমৃদ্ধি নেমে আসবে এবং জীবনে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: শনিদেবের কৃপা পেতে বিশেষ করে শনিবারগুলিতে কী কী করবেন জেনে নিন...
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এবার চৈত্র নবরাত্রির সূচনা অত্যন্ত শুভ যোগের মধ্যে হচ্ছে। বাসন্তী দুর্গার উৎসব শুরু হচ্ছে ৪টি যোগের মধ্যে। এই ঘটনা ভক্তদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনবে। এবারের নবরাত্রি পুরোপুরি ৯ দিন চলবে, কারণ এবারের তিথিতে কোনও হ্রাস-বৃদ্ধি নেই।
অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য সব কালেই মানুষ আদ্যাশক্তির আরাধনা করে। পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজ্য-হারানো রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে মূর্তি গড়ে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। যা পরে বাসন্তী পুজো নামে প্রসিদ্ধি পায়। সেটাই চলতে থাকে। কিন্তু রামচন্দ্র (Ramachandra) সীতা-উদ্ধারকালে শরৎকালেই দুর্গার আরাধনা করলেন। এটি অকালবোধন হিসাবে বিখ্যাত হল। আর তার পর থেকে এই পুজোই চলতে থাকল।
আরও পড়ুন: কাকে বলে 'ইফতার'? 'নামাজ' শব্দের প্রকৃত অর্থ কী? জেনে নিন রমজানের আসল গুরুত্ব...
বাল্মীকি (Valmiki) অকালবোধনের ঘটনাটি তাঁর রচনায় উল্লেখ করেছিলেন ঠিকই। তবে তার প্রভাব ততটা অনুভূত হয়নি। কিন্তু বাঙালি কবি কৃত্তিবাস ওঝা তাঁর বঙ্গ-রামায়ণে এই অংশের এমন আবেগমথিত বর্ণনা দিলেন যে, তা বরাবরের জন্য বাঙালিচিত্তে গেঁথে গেল। শরৎকালের দেবীপুজোই তখন বাঙালির কাছে 'দুর্গাপুজো' হয়ে দাঁড়াল। আর এইভাবেই ধীরে ধীরে এই পুজো তার নিজস্ব ধর্মীয়-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞান রচনা করে চলতে-চলতে গণমনে ক্রমশ চিরস্থায়ী হয়ে উঠল।
কিন্তু তবুও বাঙালি তার আদি দুর্গাপুজো, বসন্তকালীন এই দুর্গাপুজোকে কোনওদিনই পুরোপুরি ভুলে যায়নি। সে এখনও দুর্গাপুজোর আদিরূপ বাসন্তী পুজোর আয়োজন করে। কেন এক সময় রমরম করে বাসন্তী পুজো হত, তার একটা অন্য কারণও কেউ কেউ বলে থাকে। বসন্ত ঋতুর শেষে গ্রীষ্মের শুরুর এই সময়টায় সেকালে বসন্ত রোগের (pox) প্রকোপ ছিল। টিকাহীন চিকিৎসাহীন সেই অতীতে দুর্বার বসন্তের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মায়ের আরাধনা করে মায়ের কৃপা প্রার্থনা করা হত।