Kidney Ailment: ডায়াবিটিস বাড়ছে কমবয়সীদের মধ্যেও, কীভাবে ঠিক রাখবেন আপনার কিডনি
এখন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপ হুহু করে বাড়ছে। ফলে কিডনির সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসকদের মতে, এই দুটি সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি, তা না হলে কিডনির অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি তেমনই কী কী খেলে সমস্যা বাড়তে পারে সেগুলিও জেনে রাখা প্রয়োজন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ইউরিনের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া। অনেকের মুখেই শোনা যায় কিডনির সমস্যার কথা। কিডনির চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কোনও কারণে কিডনি আক্রান্ত হলে বা কিডনিতে কোনও রকম সংক্রমণ হলে, শরীরে একের পর এক নানা জটিল সমস্যা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই যে কোনো রোগ হওয়ার আগে তা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কেন হয় কিডনির অসুখ
অনেক কারণে কিডনির অসুখ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, কারও যদি রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়, তা থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে। খুব অল্প দিনেই কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। এর মূলে রয়েছে জলের অভাব। আবার টাইফয়েড বা ডেঙ্গু, অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার ফলেও কিন্তু কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই কিডনি অসুখে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা উচিত নয়।
আর পড়ুন: Week 4 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | বছরনামা...
কিডনি রোগের লক্ষণ:
ত্বক খুব শুকনো হয়ে যায়।
শরীরে অনেক ধরনের মিনারেল ও ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়।
চুলকানি, স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে।
ত্বকের রং ফ্য়াকাসে দেখাতে শুরু করে।
নখ খুব খুব সহজেই ভেঙে যায়। নখে সাদা স্পট দেখা দিতে শুরু করে।
তলপেটে এবং কোমরের নির্দিষ্ট জায়গায় যন্ত্রণা হতে পারে।
হাত ও পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়।
প্রস্রাব করার সময় জ্বালা ও অস্বস্তি ভাব হতে পারে।
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়:
১. পরিমাণ মতো জল খেতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার জল খাওয়া দরকার।
২. বেশি পরিমাণে চিনি খেলে স্থুলতার আশঙ্কা থাকে। তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস হতে পারে। তার ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই বেশি চিনি খাওয়া যাবে না।
৩. যে খাবারে বেশি সোডিয়াম আছে সেই রকম খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির ক্ষতি করে। পাশাপাশি লবণের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে হবে।
৪. যতটা সম্ভব ব্যথা কমানোর ওষুধ বা পেইনকিলার কম খেতে হবে। অতিরিক্ত ব্যথা কমানোর ওষুধ কিডনির সমস্যা হতে পারে বলে মত চিকিৎসদের। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত।
৫. ধূমপান কিডনিতে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় এবং কিডনির রক্তনালীগুলোকে সরু করে দেয়। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।
৬. অ্যালকোহলের ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। সেই জন্য়ে অ্যালকোহল একদম নয়।
৭. প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চাও প্রয়োজন।
<iframe allow="accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen="" frameborder="0" height="350" src=https://zeenews.india.com/bengali/live-tv/embed?autoplay=1&mute=1 width="100%"></iframe>