লকডাউনে সুস্থ থাকতে বদলাতে হবে খাবারের তালিকা, খাদ্যাভ্যাসও
লকডাউনে কী খাবেন, কী ভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেকে? জেনে নিন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি...
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ধীরে ধীরে দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকেই এগোচ্ছে। কবে, কোথায়, কী ভাবে থামবে এই ভাইরাসের আগ্রাসন তা কেউ জানে না। একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি প্রতিদিন এক এক করে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা সতর্কতার জেরে সোমবার বিকেল ৪টে থেকে লকডাউন হয়ে গিয়েছে কলকাতা-সহ সমস্ত পুর-শহরগুলি। ইতমধ্যেই দেশের মোট ৭৫টি জায়গায় ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনে মিলবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতা-সহ সমস্ত পুর-শহরগুলিতে থাকবে এই ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি।
কিন্তু গৃহবন্দি অবস্থায় অর্থাৎ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন আপনি হয়তো ভাবছেন কী খাবেন, কোন কোন ধরনের খাবার বাড়িতে মজুত রাখবেন! কী হবে এই সময়ে আপনার ডায়েট চার্ট? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
এই সময় প্রত্যেকেই গৃহবন্দি। পার্ক, জিম— সবই বন্ধ। তাই ঘরেই নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে পারেন। এর ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা যায় সহজেই। আর এই পরিস্থিতিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরি।
এ সময় ঠিক কী ধরনের খাওয়া-দাওয়া করবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, গৃহবন্দি অবস্থায় বাড়িতেই বিভিন্ন রকম সুপ বানিয়ে নিতে পারেন যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। এছাড়াও প্রতিদিন ডিম আর দুধ যেন আপনার খাবারের তালিকায় থাকে। কারণ, ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করবে। এই সময় স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ফল ও সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে ভাল থাকবে আপনার শরীর, ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ত্বকেরও সঠিক যত্নের প্রয়োজন; রাতে ঘুমনোর আগে মেনে চলুন এই সহজ রুটিন
কাজে ব্যস্ত থাকার জন্যই আমরা সময় মতো নিজের খাবার খেতে পারি না। এর ফলে আমাদের অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই লকডাউনে থাকাকালীন সময় মতো নিজের খাবার খেয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যে কোনও রকমের তৈলাক্ত খাবার, ঝাল, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত একবার করে ফলের শরবত, পাতিলেবুর শরবত খান যা আপনার শরীর ঠান্ডা রাখবে তার সঙ্গেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়াও অনেকেই ডায়েটের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি-উপাদান (optimum Nutrition food) ব্যবহার করেন। কিন্তু অবশ্যই সেটি যেন পুষ্টিবিদদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হয়।