Disadvantages of Eating Fish: বাঙালি বলেই রোজ মাছ খাবেন? জেনে নিন তা আদৌ স্বাস্থ্যকর কি না...
Disadvantages of Eating Fish: স্যামন, সার্ডিনস, ট্রাউট-- এই মাছগুলি লো-মার্কারি টাইপ। ফলে, নিয়মিত খেতে চাইলে এই ধরনের মাছই খাওয়া উচিত। এতে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে। জেনে নিন, মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাছ শুধু বাঙালিরাই বা খাবেন কেন। পুষ্টিবিশেষজ্ঞেরা প্রায়শই বলে থাকেন, অবাঙালিরাও মাছ খাওয়া অভ্যাস করুন। কেননা, অশেষ এর উপকারিতা। তবে সম্প্রতি এমন আলোচনাও কিন্তু জায়গা করে নিচ্ছে যে, মাছ নিয়মিত খাওয়াও খুব একটা ভালো কথা নয়।
আসুন, আগে জেনে নেওয়া যাক মাছ খাওয়ার উপকারিতা:
মাছ সামগ্রিক ভাবে খুব উপকারী। এর মধ্যে ট্রাউট, টুনা সার্ডিন বা ম্যাকারেল খুবই উপকারী। এসব মাছে ভালো গোত্রের ফ্যাট থাকে। এই মাছগুলিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না বলে মাছ খুবই উপকারী। বিশেষ করে হার্টের পক্ষে মাছ খুবই ভালো প্রোটিন। চিকেন-মাটনের মতো প্রোটিনের অন্য উৎসগুলি কিন্তু এত নিরাপদ নয়।
মাছ ভিটামিন ডি-র স্বাভাবিক উৎস।
ওমেগা-৩, ডিএইচএ, ভিটামিন-ডি ইত্যাদি থাকায় সামগ্রিক ভাবে মাছ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। অবসাদে ভুগতে দেয় না।
মাছ সামগ্রিক ভাবেই শরীরে রোগপ্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে দেয়। ফলে অনেক রোগই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আপনি রোজই মাছ খাবেন। বাঙালিদের সত্যিই মাছ খাওয়ার জন্য কোনও উপলক্ষ লাগে না। পারলে সপ্তাহের সাতদিন দুবেলাই পাতে মাছ রাখে সে। সেটা কিন্তু খুব ভালো লক্ষণ নয়। কেননা, নিয়মিত মাছ খাওয়ার কিছু বিপদও আছে।
এবার জেনে নেওয়া যাক, নিয়মিত মাছ খাওয়ার ক্ষতিকর দিক:
সব চেয়ে বড় বিপদ মাছের মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিকের পাল্লায় পড়া। বাতাসে ও জলে পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনিলস বা পিসিবি থাকে। এটা একধরনের ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল। অনেক সময়েই মাছের মধ্যে অনেকাংশে এই রাসায়নিকটি ঢুকে পড়ে, থাকে পারদও। দুটিই মানুষের শরীরের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর।
পারদ মস্তিষ্কের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। ফলে, পারদ থাকতে পারে এই ধরনের মাছ খাওয়া থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে উচিত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের। সপ্তাহে একদিনের বেশি মাছ না-খাওয়াই উচিত হবে এঁদের।
এখন, মানুষ বুঝবে কী করে, কোন মাছে পারদ থাকে, কোন মাছে থাকে না?
মোটামুটি বলা হয়ে থাকে, স্যামন, সার্ডিনস, ট্রাউট-- এই মাছগুলি লো-মার্কারি টাইপ। ফলে, খেলে এই ধরনের মাছই খাওয়া উচিত। এতে বিপদের আশঙ্কা কম থাকবে।