Bipattarini Vrata: বিপত্তারিণীর পুজোয় ১৩টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো পরতে হয় কেন? কেন ১৩টি ফল?
Bipattarini Vrata: বিপত্তারিণী হলেন সেই দেবী যিনি ভক্তের জীবন থেকে সমস্ত বিপদ দূর করেন। বিশ্বাস, বিপত্তারিণী ব্রত করলে ভক্তের জীবন থেকে সমস্ত বিপদ দূর হয়। রথযাত্রা ও উল্টোরথের মাঝে পুজো হয় বিপত্তারিণী দেবীর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ষা পড়তে না পড়তেই বঙ্গজীবনে কয়েকটি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বা ব্রত-পার্বণ সামনে চলে আসে। যেমন রথ, অম্বুবাচী, বিপত্তারিণী ব্রত, উল্টোরথ। রথযাত্রা ও উল্টোরথের মাঝে পুজো হয় বিপত্তারিণী দেবীর। এই ব্রত দুদিন পড়ে। একটি শনি, একটি মঙ্গলবার। গত শনিবার এই ব্রত পালিত হয়ে গিয়েছে। আবার হবে আগামীকাল, মঙ্গলবার। বিপত্তারিণী হল সেই দেবী যিনি ভক্তের জীবন থেকে সমস্ত বিপদ দূর করেন। বিশ্বাস, বিপত্তারিণী ব্রত করলে ভক্তের জীবন থেকে সমস্ত বিপদ দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Ulta Rath Yatra: জেনে নিন কবে উল্টোরথ, কী বলা হয় এই যাত্রাকে, এর বিশেষ তাৎপর্য...
বিপত্তারিণীকে দেবী দুর্গা বা কালীরই অন্য রূপ বলে মনে করা হয়। দুর্গার মতোই তিনি সিংহবাহিনী। কোথাও রক্তবর্ণা, কোথাও কৃষ্ণা। তবে অনেকেই মনে করেন, বিপত্তারিনী আসলে বাংলার লৌকিক দেবী।
মূলত মহিলারাই বিপত্তারিণী ব্রত পালন করে থাকেন। মনষ্কামনা করে হাতে লাল সুতোর তাগা বাঁধেন। সেই তাগায় তেরোটি দুর্বা-সহ তেরোটি গিঁট দেওয়া থাকে। সেই সঙ্গে তেরো রকম ফল এবং তেরো রকম ফুল দিয়ে দেবীর পুজো করা হয়। কেন বিপত্তারিণী ব্রতে '১৩' সংখ্যাটির এই আশ্চর্য ব্যবহার? তেরো-রহস্য অবশ্য ভেদ হয়নি সেভাবে। সবটাই লোকাচার হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: Ketu Gochar: জেনে নিন চিত্রা নক্ষত্রে কেতুর প্রবেশে কোন কোন রাশিকে থাকতে হবে দারুণ সতর্ক...
বিপত্তারিণী ব্রতের আগের দিন নিরামিষ খেতে হয়। ব্রতের দিনে উপবাস। পারণের আগে পর্যন্ত কোনও খাবারই খাওয়া যায় না। আজ, সোমবার একটু আগে অম্বুবাচী ছেড়েছে। আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া এবং শুক্লা দশমীর মধ্যেই পড়ে এই ব্রত। সেই হিসেবে আগামীকাল ২৭ জুন মঙ্গলবার পড়েছে বিপত্তারিণী ব্রতের দ্বিতীয় দিনটি। পরদিন বুধবার উল্টোরথ।