উড়তে উড়তে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে একের পর এক মরছে বিপন্ন প্রজাতির কাকাতুয়া!
রহস্যজনক ভাবে মৃত ৬০টি বিপন্ন প্রজাতির কাকাতুয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে! তবে কী ভাবে এদের শরীরে বিষ ঢুকলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে...
নিজস্ব প্রতিবেদন: আকাশ থেকে ঝড়ে পড়ছে ঝাঁক ঝাঁক পাখি। মাটিতে পড়ে ঝটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে পাখিগুলি। হলিউডের হরর সিনেমায় সাধারণত এ রকম দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু এরকমই ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। হঠাত্ই আকাশ থেকে পড়ে মারা গেল প্রায় ৬০টি বিরল প্রজাতির কাকাতুয়া। প্রতিটি পাখির মুখ থেকে হচ্ছিল তীব্র রক্তক্ষরণ।
গত বুধবার হঠাত্ অ্যাডিলেড-এর একটি স্কুল চত্বরে এসে পড়তে থাকে মৃতপ্রায় পাখিগুলি। ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পক্ষী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞ দল। কিন্তু ততক্ষণে মাটিতে পড়েই মারা গিয়েছে বেশির ভাগ পাখি। যন্ত্রণায় ছটফট করছে অনেক পাখি। তড়িঘড়ি তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। কেবল মাত্র দুটি পাখিকে বাঁচানো গিয়েছে ৫৮টি পাখির মধ্যে।
আরও পড়ুন: পশু হাসপাতালে গিয়ে জানা গেল ‘অচেনা’ পাখির চেনা নাম!
মৃত পাখিগুলি বিরল প্রজাতির লং-বিলড্ কোরেল্লা কাকাতুয়া। হালকা গোলাপি রঙের এই পাখি অস্ট্রেলিয়ার সংরক্ষিত প্রজাতি। কী ভাবে মৃত্যু হল পাখিগুলির, এই প্রশ্নকে ঘিরে তোলপাড় অস্ট্রেলিয়ার পশুপ্রেমীদের মধ্যে। পক্ষী বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কৃষিজমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকের প্রভাবেই মারা গিয়েছে পাখিগুলি। এই কাকাতুয়াগুলি অস্ট্রেলিয়ার কৃষিজমিতে ক্ষতি করে। এই কারণেই বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে তাদের। এ ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ ও জল দফতর। কোনও জলাশয়ে বিষক্রিয়ার ফলে পাখিগুলি মারা গিয়েছে কি না, সে ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।