Calcutta High Court: চাকরির নামে এবার ধর্ষণ? তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মহিলা কর্মপ্রার্থী
গ্রুপ সি অথবা গ্রুপ দি পদে নিয়োগের জন্য ১০ লক্ষ! মামলাকারীর দাবি,, ২ মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার শর্তে টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু চাকরি পাননি, উল্টে ধর্ষণের শিকার হন!
অর্ণবাংশু নিয়োগী: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নয়া মোড়। স্রেফ টাকা নেওয়া নয়, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা কর্মপ্রার্থী। শুধু তাই নয়, অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় পেটে লাঠি মেরে নাকি তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে খুন করেছে অভিযুক্ত! রাজ্য পুলিসের ডিজির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
অভিযুক্তের নাম দেবাশিষ পাল। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূলে অঞ্চল সভাপতি তিনি। মামলাকারীর দাবি, ২০২১ সালে ৩১ মার্চ দেবাশিষকে ১০ লক্ষ টাকা দেন তিনি। কেন? গ্রুপ সি অথবা গ্রুপ দি পদের চাকরির জন্য। শর্ত ছিল, টাকা নেওয়ার ২ মাসের মধ্য়ে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু শর্ত পূরণ তো দূর অস্ত, উল্টে সে বছরের জুলাই মাস থেকে ওই মহিলার সঙ্গে তৃণমূল নেতা বারবার সহবাসে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ।
তারপর? মামলাকারীর দাবি, এ বছরের মার্চে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে পেটে সজোরে লাথি মারেন অভিযুক্ত। ফলে গর্ভস্থ সন্তান মারা যায়! শেষপর্যন্ত জুলাই মাসে অভিযোগ দায়ের করা হয় আউশগ্রাম থানায়। তদন্ত কতদূর এগোল? কয়েকদিন পর খোঁজ নিতে গিয়ে ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর মঙ্গলকোট থানার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন? হাইকোর্টের মামলা দায়ের করেছেন অভিযোগকারীরা।
এদিকে বর্ধমানে যাঁরা চাকরির নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাঁদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। দলের জেলা কার্যালয়ে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে, 'তৃণমূল নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়ে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। বিজেপি দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করবে'। জেলা সভাপতির নির্দেশে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি', জানিয়েছেন বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।
এর আগে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছে বেঁধে লাঠিপেঠা করা হয় তাঁকে! কেন? অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দিলীপ পাত্র। কিন্তু চাকরি পাননি কেউ। এরপর যখন টাকা ফেরত চান তাঁরা, তখন চেক দেন অভিযুক্ত। সেই চেকও বাউন্স করে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানগোলায় গাছে বেঁধে মারধর করা হয় তৃণমূল নেতার ছেলেকে।