কেন সেনা ডাকা হল না? বাগরির আগুনে বাড়ছে ক্ষোভ
আগুন একটু শান্ত হতেই নিজের নিজের দোকানের দিকে ছুটলেন ব্যবসায়ীরা। শাটার তুলে যা কিছু মালপত্র বেঁচে গিয়েছে তা বের করে আনা শুরু হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগরি বাজারের পাঁচ তলায় নতুন করে আগুন লেগেছে। দমকল থাকলেও জলের উত্স না থাকায় আগুন নেভানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছে না দমকল। তবে, আগুনের তীব্রতা অনেকটাই কম। পুরো দমে কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। দফায় দফায় নতুন করে আগুন লেগেছে চারতলায়। বহুতলের আনাচে কানাচে ধিকিধিকি ফায়ার পকেটস। জলের সোর্স কম। তাই বাড়ছে ক্ষোভ। কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন সেনা ডাকা হল না, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ব্যবসায়ীরা। ছোট ছোট ল্যাডারে করে সেইসব জায়গায় পৌছনোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। ছাদ,দেওয়াল ফুঁড়ে হলকা পাশের গলিতেও। এলাকাজুড়ে কালো ধোঁয়া ।
রাতভর আগুনের সঙ্গে যুঝেছেন দমকলকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। ঘটনাস্থলে থেকে আগুন নেভানোর কাজ তদারকি করেছেন মন্ত্রী ও পুলিসকর্তা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির আবডেট নিয়েছেন। দমকল কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উত্সাহও যুগিয়ে গিয়েছেন।
এদিকে, আগুন একটু শান্ত হতেই নিজের নিজের দোকানের দিকে ছুটলেন ব্যবসায়ীরা। শাটার তুলে যা কিছু মালপত্র বেঁচে গিয়েছে তা বের করে আনা শুরু হয়েছে। উত্সবের মরশুম, আজ বিশ্বকর্মা পুজো। সামনে দুর্গোত্সব। বাজারের চাহিদা মেটাতে ধারে প্রচুর টাকার মাল তুলে রেখেছিলেন পাইকাররা। আগুনে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। মহাজনের দেনা কী করে শুধবেন তাই এখন মাথাব্যথা ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের হিসেব বলছে বাগরি মার্কেটে ৪২৫ টি দোকান রয়েছে।যদিও এখন অনেকগুলির অস্তিত্বই কাগজে কলমে থেকে গেছে।
বাগরি মার্কেটের গা ঘেঁষে মেহতা বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা এদিকে দুদিন ধরে আগুনের সঙ্গে সহবাস করছেন। এই বহুতলের বাসিন্দারাই প্রথম আগুন দেখতে পেয়ে জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন। তারপর থেকে দমকলও জল ছেটাতে এই বিল্ডিংই ব্যবহার করছে। ধোঁয়ায় বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অধিকাংশ পরিবারই আত্মীয়দের বাড়িতে চলে গেছে। যাঁরা রয়ে গেছেন, তাঁদের চোখে ঘুম নেই।