নতুন করে আগুন ছড়াল বাগরি মার্কেটে, হিমশিম দমকল কর্মীরা
বাগরি মার্কেটের ছটি তলই এখন আগুনের গ্রাসে। আজও ফাটছে সিলিন্ডার। সেই আগুন মার্কেট ফুঁড়ে বেরিয়ে পড়ছে পাশের গলিতে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগরি মার্কেটের ছটি তলই এখন আগুনের গ্রাসে। আজও ফাটছে সিলিন্ডার। সেই আগুন মার্কেট ফুঁড়ে বেরিয়ে পড়ছে পাশের গলিতে। আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। আঠাশ ঘণ্টা পার। নতুন করে আগুন ছড়াল চার তলায়।
আরও পড়ুন-তারের জালে জড়িয়ে ঢুকতে পারল না ল্যাডার , সন্ধ্যাতেও জ্বলছে বাগরি মার্কেট
মালপত্রে ঠাসা বাগরি মার্কেট এখন জতুগৃহ। প্রতিটি তলে আগুন ছড়ানোর ফলে সেইসব দাহ্য বস্তু পুড়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগুন নেভার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত দমকল তিনতলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। প্রতিটি তলে ফায়ার পকেটস খুঁজে চলেছেন দমকলকর্মীরা। ফলে এই আগুন এখনই যে নিভছে না তা একপ্রকার নিশ্চিত। মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।
গতকালই দেখা গিয়েছিল তারের জটে আটকে যায় ল্যাডার। ফলে বহুতলের জন্য যে ল্যাডার দমকল কিনেছিল তা ব্যবহারই করা যায়নি। ফলে ছোট ছোট ল্যাডার ব্যবহার করে আগুনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বড় সমস্যা জলের। আপাতত ভূগর্ভস্থ জলের সাহায্যেই আগুন নেভানোর চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-আবার লালে লাল JNU, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল AVBP
আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে চলে আসেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও পুলিস কমিশনার। গভীর রাতে তারা ফিরে যান। মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল না বলে অভিযোগ উঠছে। মেয়রও প্রায় একই কথা বলতে চেয়েছেন। তবে তা মানতে নারাজ মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিদেশযাত্রার আগেই আগুন নেভানোর তদরকির জন্য একটি কমিটি গড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই কমিটি সোমবার দুপুর দুটোয় বৈঠকে বসছে। আপাতকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য ওই কমিটি গড়া হয়েছে।