রানাঘাটে হঠাত্ কেন ভোলবদল মুখ্যমন্ত্রীর? চাপের মুখেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ?
রানাঘাটে সিস্টারকে গণধর্ষণের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত চার বছরে একাধিক ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠলেও তাতে কর্ণপাত করেনন নি মুখ্যমন্ত্রী। আচমকা কেন এমন ভোলবদল?
বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে কোনও ঘটনা ঘটলেই সিবিআই নিয়ে সরব হতে দেখা যেত তাঁকে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পুরোপুরি নিজেকে বদলে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন সিবিআইয়ের নাম শুনলেই রীতিমতো তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। গত ৪ বছরে বেশকয়েকটি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। শুরুতে যা মানেনি রাজ্য।
পাড়ুই মামলা
কামদুনি ধর্ষণ
মধ্যমগ্রামে ধর্ষণ
সাত্তোরে মহিলাকে নির্যাতন
ধনেখালিতে পুলিসি নির্যাতন
তপন দত্ত হত্যা মামলা
এমনকী সারদাকাণ্ড। সারদার তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে না যায় তারজন্য সুপ্রিম কোর্টে দু কোটি টাকা খরচ করেছিল রাজ্য সরকার। আর বির্তক তো আছেই। এহেন রাজ্য সরকার রানাঘাটকাণ্ডের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চাইল ? কারণ অনেক।
কারণ ১
ঘটনার পর ঘটনার পর ঘটনা কেটে গেলেও এখনও কোনও কূল কিনারা করতে পারছে না সরকার। ফলে সিআইডি ব্যর্থতার মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না রাজ্যের হাতে।
কারণ ২
অত্যন্ত স্পর্শকাতর। রাজ্য দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে তোলপাড় পড়েছে বিশ্বজুড়ে। ফলে সিআইডিতে অনড় থাকার ঝুঁকি নিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।
কারণ ৩
সিবিআইয়ের হাতে চলে গেলে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে তা হয়ত কিছুটা হলেও স্তিমিত হবে। এরপরও দোষীদের গ্রেফতার করা না গেলে দায় বর্তাবে সিবিআইয়ের ওপর।
সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট, ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখেই যে রাজ্য সিবিআইয়ের শরনাপন্ন হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, কৌতূহল তৈরি হয়েছে এরপর সিবিআই নিয়ে কি মনোভাব নেবে রাজ্য?