Calcutta High Court: 'সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া নেই', হাইকোর্টে হলফনামা রাজ্যের
'কর্মীদের ডিএ ও পুজো অনুদান সম্পূর্ণ দুটি আলাদা। এই দুটি বিষয়কে মিলিয়ে এভাবে অভিযোগ করা যায় না।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। সেকারণেই আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। পুজো মামলায় হাইকোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য সরকার। দাবি করা হল, কর্মীদের ডিএ ও পুজো অনুদান সম্পূর্ণ দুটি আলাদা। দুটি বিষয়কে মিলিয়ে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। অবিলম্বে বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করে মামলা খারিজ উচিত।
আর এক মাসও বাকি নেই। ২২ অগস্ট কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এবার ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সঙ্গে ৫০ শতাংশ নয়, বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড়ও। কেন এমন সিদ্ধান্ত? রাজ্য়ের বিরুদ্ধে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ যখন বকেয়া, তখন পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া সমীচীন নয়। সেই মামলায় এদিন হাইকোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য সরকার। হলফনামায় উল্লেখ, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে বাধার কিছু নেই। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করতে নয়, বরং পুজোর দিনগুলিতে মসৃণভাবে উৎসব পরিচালনার জন্য ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হয়। ২০১৮ সাল থেকে 'পুলিস অনুশীর্ষে' (Sub Head) এই অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Primary TET: আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫৪ টেট উত্তীর্ণকে চাকরি দেওয়ায় নির্দেশ হাইকোর্টের
ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির শারদোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় 'কলকাতার দুর্গাপুজো'-কে। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদযাপনে, ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন কলকাতা. হওড়া ও সল্টলেকের পুজো কমিটিগুলিকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রেড রোড পর্যন্ত বর্ণাঢ্য মিছিল হয়েছিল। হলফনামায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইউনেস্কোর তরফে দুর্গাপুজো হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। যা এই রাজ্য ও দেশের জন্য গর্বের বিষয়। সংবিধানের ৫১ ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিকের। রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয়, তারা যেন এগুলির সংরক্ষণেক জন্য অর্থ বরাদ্দ করে।
এদিকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ইতিমধ্য়েই ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের। ৩১ নয়, ৩৪ শতাংশ হারে এখন মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন তাঁরা। মামলা দায়ের করা হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT)। স্রেফ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া নয়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৩ মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেয় স্যাট। এমনকী, ডিএ মামলায় স্যাটের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। আদালতের দেওয়া সময়সীমা শেষ। পুনর্বিবেচনার দাবিতে যখন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য , তখন সরকারের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার অভিযোগে মামলা করেছে ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা।