Bratya Basu: '১০ মাস হল বিল আটকে রেখেছেন', রাজ্যপালকে 'শ্বেতহস্তী' বলে তোপ ব্রাত্যর
ফের একবার প্রাকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। নবান্নকে অন্ধকারে রেখেই এককভাবে কাজ করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকেও কিছু জানাচ্ছেন না। বাঙালির সেন্টিমেন্টকে মান্যতা দিলে উপাচার্য বিল ছেড়ে দিন। এমনটাই মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। এদিন রাজ্যপালকে 'শ্বেত মত্ত হস্তি' বলেও আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন কড়া ভাষায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। সেই আরও একবার সামনে এল রাজভবন ও শিক্ষা দফতরের দ্বন্দ্ব।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের একবার প্রাকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। নবান্নকে অন্ধকারে রেখেই এককভাবে কাজ করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকেও কিছু জানাচ্ছেন না। বাঙালির সেন্টিমেন্টকে মান্যতা দিলে উপাচার্য বিল ছেড়ে দিন। এমনটাই মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। এদিন রাজ্যপালকে 'শ্বেত মত্ত হস্তি' বলেও আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন কড়া ভাষায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। সেই আরও একবার সামনে এল রাজভবন ও শিক্ষা দফতরের দ্বন্দ্ব। বারাসতে গিয়ে নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য ঠিক করে এসেছেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ, উচ্চ শিক্ষা দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন, Kolkata Bike Accident: ফের রাতের কলকাতায় বাইক দুর্ঘটনা, দুই কিশোরের মৃত্যু
বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। ফের বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন রাজ্যপাল। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'শ্বেতহস্তির মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এটা বাস্তবোচিত, সমীচিন এবং সঙ্গত ঠেকছে না। আমাদের অন্ধকারে রেখে রাজ্যপাল এসব করছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাচ্ছেন না। আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উনি আচার্য্য ঠিক করে দিচ্ছেন। লজেন্স বিতরণ করছেন। আরও আর্থিক অনুদান দিতে চাইছেন দিন। কিন্তু ১০ মাস অতিক্রান্ত কোনও বিল পাস করছেন না।'
ব্রাত্য বসু বলেন, 'এখনও বলছি রাজ্যপালের সঙ্গে সমন্বয় চাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এককভাবে নিয়ন্ত্রণ মেনে নেব না। হঠাৎ হঠাৎ করে স্বেচ্ছাচারী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছেন, আচার্য্য নিয়োগ করছেন, সেটা আমাদের কাছে হঠাকারীতা মনে হচ্ছে।' এদিন রাজভবনের তরফে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নয়া নির্দেশ জারি করেন রাজ্যপাল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যকে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। এছাড়াও কোনও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে রাজভবনকে।
আরও পড়ুন, BJP, Nandigram: নন্দীগ্রামে কেন একতরফা প্রার্থী ঘোষণা? ক্ষুদ্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব....