Kolkata Bike Accident: ফের রাতের কলকাতায় বাইক দুর্ঘটনা, দুই কিশোরের মৃত্যু
দুজনকেই নাইট পেট্রোল পুলিস দ্রুত উদ্ধার করে এস এস কে এম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে গেলেও কাউকেই বাঁচানো যায়নি। ঘাতক ট্রাক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিস ওয়াকিটকির মাধ্যমে হেস্টিংস থানা এলাকায় ধরা পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরেই মৃত কিশোরের সঙ্গে থাকা অন্যান্য বন্ধুরা নিজের নিজের বাইকে ওই ট্রাকটিকে ধাওয়া করে।
অয়ন ঘোষাল: ফের রাতের কলকাতায় বাইক দুর্ঘটনা। দুই কিশোরের মৃত্যু। রাত আড়াইটে। উত্তীর্ণর সামনে নবনির্মিত সম্পন্ন পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোড়ে দুরন্ত গতির বাইকে ধাক্কা চিড়িয়াখানার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ট্রাকের। ঘটনাস্থলেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে দুই কিশোর। দুজনেই খিদিরপুর বাবুবাজার এলাকার বাঙালপাড়ার বাসিন্দা।
১৬ বছরের মহম্মদ ফৈজান এবং ১৫ বছরের মহম্মদ তৌসিফ। দুজনকেই নাইট পেট্রোল পুলিস দ্রুত উদ্ধার করে এস এস কে এম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে নিয়ে গেলেও কাউকেই বাঁচানো যায়নি। দুজনের কারোর মাথাতেই হেলমেট ছিল না। ঘাতক ট্রাক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিস ওয়াকিটকির মাধ্যমে হেস্টিংস থানা এলাকায় ধরা পড়ে যায়। ট্রাকের চালককে আটক করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: BJP, Nandigram: নন্দীগ্রামে কেন একতরফা প্রার্থী ঘোষণা? ক্ষুদ্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব....
দুর্ঘটনার পরেই মৃত কিশোরের সঙ্গে থাকা অন্যান্য বন্ধুরা নিজের নিজের বাইকে ওই ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। একবালপুর মোড় পেরিয়ে যাওয়ার পর ট্রাকটিকে খিদিরপুর মোড়ের কাছে ধরে ফেলে তারা। এরপরেই ওই ট্রাকে তারা ভাঙচুর চালায় বলেও জানা গিয়েছে। পরে হেস্টিংস থানার পুলিস ট্রাকটিকে উদ্ধার করে ও চালককে আটক করে আলিপুর থানার হাতে তুলে দেয়।
গত পরশু ভোরে এরকমই আরও একটি ঘটনা ঘটে। সেখানেও কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না।
কয়েকজন বন্ধু মিলে কয়েকটি বাইকে বড় কাছারি মন্দির দর্শন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাড়ি ফেরা হয় নি সরশুনার দুই তরুণের।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: বাঙালি হওয়ার পথে পা! নববর্ষে বাংলায় ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল
সেইদিন ভোরে বড় কাছারি মন্দির থেকে বাইকে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সরশুনা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ১৮ বছরের সৌম্যজিত মিশ্র। বাইক চালাচ্ছিল ১৯ বছরের শুভজিত মন্ডল। রাস্তায় আলো কম থাকায় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বিবিরহাটের কাছে দেখতে না পেয়ে একটি গাছে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মারে বাইক। জানিয়েছেন বাকি বাইকে থাকা বন্ধু অর্থাৎ প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাস্তায় ছিটকে পড়ে সৌম্যজিত ও শুভজিত। সৌম্যজিতকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে এবং শুভজিতকে বেহালার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁদের মৃত ঘোষনা করা হয়।
অর্থাৎ ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে চারজন তরুনের প্রাণ গেল হেলমেট না থাকায়।