Jagdeep Dhankhar: উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে রাজ্যে প্রথমবার জগদীপ ধনখড়...
অগস্ট মাসে দেশের ১৪ তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জগদীপ ধনখড়। অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্ব মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। অবশেষে বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস।
প্রবীর চক্রবর্তী: ব্যবধান মাস তিনেকের। দেশের উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্যে আসছেন জগদীপ ধনখড়। কবে? সূ্ত্রের খবর, চলতি মাসের ২৯ বা ৩০ তারিখ সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাংলায় আসতে পারেন ধনখড়। তাঁকে স্বাগত জানাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও জ্যোৎস্না মান্ডি।
বাংলার রাজ্যপাল পদে মেয়াদ শেষ হয়নি তখনও। গত জুলাই মাসে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। স্রেফ রাজ্যপাল থেকে পদ থেকে ইস্তফা নয়, নিয়মরক্ষার নির্বাচনে জিতে উপরাষ্ট্রপতি হন তিনি।
আরও পড়ুন: 'বেনামি' আবেদন নিয়ে কৈফিয়ৎ তলব, আদালতে হাজিরা শিক্ষাসচিবের
এদিকে জগদীপ ধনখড় যেদিন ইস্তফা দেন, সেদিন বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশনের নাম ঘোষণা করা হয়। এতদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। গতকাল, বুধবার বাংলার নয়া রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ অনেকেই। ছিলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু, বাংলার প্রাক্তন গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য গরহাজির ছিলেন।
এর আগে, জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন রাজভবনের সঙ্গে নবান্নে সংঘাত চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার আগে জি ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, 'আমি কোনও সংঘাত চাই না। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করব। মনে হয় না কোনও সংঘাত হবে'।