পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-র দাবি, বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূল সাংসদদের চিঠি দিচ্ছে ভিএইচপি
এবার নাগরিকপঞ্জির দাবিতে পথে নামতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
অঞ্জন রায়: নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সাংসদদের কাছে আবেদন করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সাংসদদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে পত্রে। বলে রাখি, রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম তো বটেই তৃণমূলও এনআরসি বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি হবে না।
রাম মন্দিরের দাবিতে শুরু হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পথ চলা। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারও ছিল তাদের অন্যতম দাবি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের রাস্তাও মসৃণ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি করতে পারবেন হিন্দুরা। মুসলিমদের দেওয়া হবে বিকল্প জমি। ফলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মোক্ষম দু'টি ইস্যুই এখন অতীত। এবার নাগরিকপঞ্জির দাবিতে পথে নামতে চলেছে ভিএইচপি। অতিসম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় নেতারা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদদের আবেদন করা হবে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে রাজ্যে ৪২ জন সাংসদকে চিঠি পাঠাতে চলেছে ভিএইচপি। ওই চিঠিতে নাগরিকপঞ্জি সমর্থনের আর্জি জানানো হবে। বিজেপি তো রাজ্যে এনআরসি দাবি করছে। ক্ষমতায় আসলে এনআরসি চালু করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিরোধিতা করেছে সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল সাংসদরা। তাত্পর্যপূর্ণভাবে এনআরসি-বিরোধীদেরও চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিএইচপি। এটা নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থাকতে পারে বলে মত অনেকের।
এনআরসি বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বলেছেন,''বাংলার মানুষকে আশ্বাস করব, কোনও এনআরসি হবে না এখানে। আমাকে বিশ্বাস করেন তো! এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার করছে। এটা রাজনীতির হাতিয়ার। বাংলায় প্রশ্নই আসে না। হবে না হবে হবে না।''
আরও পড়ুন- মমতার পাশে কানহাইয়া, বড় নেতা ভাবছেন? ক্ষোভ উগরে দিলেন ক্ষুব্ধ বাম কর্মী-সমর্থকরা