এখনও নেভেনি ডানকুনির প্লাস্টিক কারখানার আগুন, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর
এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি হুগলির ডানকুনির প্লাস্টিক কারখানার আগুন। এখনও আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই গোটা কারখানা। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরে নির্দেশ দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।
ওয়েব ডেস্ক: এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি হুগলির ডানকুনির প্লাস্টিক কারখানার আগুন। এখনও আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই গোটা কারখানা। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরে নির্দেশ দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া ডানকুনির প্লাস্টিক কারখানার ইনভার্টার রুমে প্রথম আগুন লাগে শনিবার দুপুরে। তবে নিজেদের চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন কারখানার কর্মীরাই। ওইদিনই কর্তৃপক্ষের কাছে দু তিন দিনের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন মেনটেনেন্স বিভাগের কর্মীরা। কোথায় কি সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার আর্জিও জানান। অভিযোগ, কর্ণপাত করেননি কারখানার মালিক। উপরন্তু বড় অর্ডারের বরাত থাকায় ছুটির দিনও কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সেই ইনভার্টার রুমেই রবিবার সকালে ফের আগুন লাগে। এবং দ্রুত আগুন ভয়াবহ চেহারা নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় কেমিক্যাল বোঝাই ঘরগুলিতে শুরু হয় বিস্ফোরণ। কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ না করায় পরিস্থিতি ভয়াবহ চেহারা নেয় ।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো কারখানা। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছন দমকলের আধিকারিকরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ডেকে পাঠানো হয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন।
বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন দমকলমন্ত্রী। কারখানার মালিককেও খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারখানার প্রয়োজনীয় লাইসেন্স রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন দমকল মন্ত্রী।