আহমেদপুরের বাড়ির অংশ লিখে দেন ছেলের নামে, তারপরেও কীসের অশান্তি?
পুলিস জানতে পেরেছে, শ্বশুরবাড়ির তরফে একটি জমি নিয়ে ছেলের সঙ্গে মন কষাকষি চলছিল শর্বরী দত্তের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য উঠে আসছে পুলিসের হাতে। পুলিস জানতে পেরেছে, শ্বশুরবাড়ির তরফে একটি জমি নিয়ে ছেলের সঙ্গে মন কষাকষি চলছিল শর্বরী দত্তের।
জমিটি বীরভূমের আহমেদপুরে। ওই জমিতে অংশীদার ছিলেন মোট তিনজন। শর্বরীদেবীর স্বামী আলোকময় দত্ত ও তাঁর দুই ভাইয়ের। স্বামীর মৃত্যুর পর শর্বরীদেবীর নামে সেই সম্পত্তি চলে যায়। কিন্তু তা তিনি ছেলের নামে করে দেন। এই নিয়ে অতীতে ঝামেলা ও দ্বন্দ্ব ছিল মা ও ছেলের মধ্যে।
আলোকময়বাবুর দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বিদেশে থাকেন। অন্যজন এখনও আহমেদপুরেই থাকেন। ওই জমিটি নিতে চেয়েছিলেন অমলিন। সেখানে শর্বরীদেবীর স্বাক্ষরের দরকার ছিল। তাই কিছুদিনের আগে মাকে নিয়ে সেখানে যান তিনি। আহমেদপুরের জমির ওই অংশ ছেলের নামে করে দেন শর্বরীদেবী। সাময়িকভাবে ঝামেলা মিটে যায়। কিন্তু ফের অশান্তি শুরু হয় মা ও ছেলের মধ্যে। পুলিসের হাতে এরকম বেশ কিছু তথ্য উঠে আসছে।
সম্প্রতি শর্বরীদেবীর ভার্টিগো ধরা পড়েছিল, মাথা ঘুরত তাঁর। বেশ কয়েকবার মাথ ঘুরে পড়েও গিয়েছিলেন। সংযুক্তা বসু জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর শর্বরীদেবী একাকীত্বে ভুগতেন। ছেলে ও বৌমার সঙ্গে কিছু বিষয়ে মন কষাকষি চলছিল। ওষুধও ঠিকমতো খেতেন না।
কীভাবে মৃত্যু বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের? ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস
এদিকে, ছেলে পুলিস জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালোই ছিল। কিছুদিন আগেও তাঁরা শান্তিনিকেতন ঘুরে আসেন। পরিবার জানিয়েছে, শর্বরীদেবীর কানের কাছে রক্তের দাগ ছিল। পুলিস এটি এখনও নিশ্চিত করেনি। সম্পত্তিগত কোনও বিবাদ ছিল কিনা দেখা হচ্ছে। বিমার কাগজপত্রও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।