শিক্ষাঙ্গনের মাথা থেকে পা, সর্বত্র একমাত্র তৃণমূল

২০১১১ সালে শিক্ষাঙ্গনে দলতন্ত্রের বদলে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির ছায়াটুকুও পড়তে দেবে না তারা। কিন্তু, বাস্তবে কী হল? ক্যাম্পাসে দাপট বেড়েছে শঙ্কু স্যারদের। স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির মাথায় বসেছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এর আগেও বাম আমলে শিক্ষায় অনিলায়নের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। তৃণমূল জামানাতে সেই ট্র্যাডিশন ভাঙ্গা তো দূরস্থ উল্টে শিক্ষাঙ্গনে ঠাই পেয়েছে বন্দুক বাজেরা।  

Updated By: Mar 4, 2015, 10:52 AM IST
শিক্ষাঙ্গনের মাথা থেকে পা, সর্বত্র একমাত্র তৃণমূল

ওয়েব ডেস্ক: ২০১১১ সালে শিক্ষাঙ্গনে দলতন্ত্রের বদলে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির ছায়াটুকুও পড়তে দেবে না তারা। কিন্তু, বাস্তবে কী হল? ক্যাম্পাসে দাপট বেড়েছে শঙ্কু স্যারদের। স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির মাথায় বসেছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এর আগেও বাম আমলে শিক্ষায় অনিলায়নের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। তৃণমূল জামানাতে সেই ট্র্যাডিশন ভাঙ্গা তো দূরস্থ উল্টে শিক্ষাঙ্গনে ঠাই পেয়েছে বন্দুক বাজেরা।  

 প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ:

চেয়ারম্যান পদে মাণিক ভট্টাচার্য। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা।
ঘাসফুলের টিকিটে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ:

সভাপতি পদে চৈতালী দত্তকে বসিয়েছিল তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রাম পর্বে যিনি বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। যদিও, পরে সরকারের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় সরে যেতে হয় তাঁকে।

উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ:

সভাপতি পদে বসানো হয়েছিল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও, সরকারের সঙ্গে বিরোধের জেরে মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হয়।

উচ্চশিক্ষা সংসদ:

চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ সুগত মারজিত্‍।

স্কুল সার্ভিস কমিশন:

মাথায় বসানো হয়েছিল শাসকদলের শিক্ষা সেলের নেতা চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে।

কলেজে কলেজে আরাবুল ইসলাম থেকে শশী পাঁজাদের একাধিপত্য। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের পরিচালন সমিতিতে তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন কলেজের পরিচালন সমিতিতে।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ছবি। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী-অস্থায়ী উপাচার্যের পদে শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা। শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগের সুবাদেই যাদবপুরে পা রেখেছিলেন অভিজিত চক্রবর্তী।

গ্রাম থেকে শহর, মফস্বলের স্কুলে স্কুলে পরিচালন সমিতিতে তৃণমূলের বড়-মেজ-ছোট নেতা-কর্মীদেরই দাপট।
 
এর নাম পরিবর্তন?পড়ুয়া থেকে অভিভাবক। শিক্ষাবিদ থেকে বিরোধী। সকলেই প্রশ্ন
তুলছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন, সরকার বদলালেও শিক্ষার হাল বদলায়নি। সব একই মুদ্রার এ পীঠ আর ও পীঠ।

.