কেবল নথিভূক্তিকরণের শেষদিন ২৩ অগাস্ট

বাড়িতে সেটটপ বক্স বসানোর চরম সময়সীমা বেঁধে দিল ট্রাই। তাহলে ২৩শে অগাস্ট পর্যন্ত সময় আছে আপনার হাতে। সেদিনের মধ্যে এই শর্ত পূরণ না করলে আপনি কালো তালিকাভূক্ত গ্রাহক হয়ে যাবেন। অর্থাত্ পে চ্যানেল বা ফ্রি চ্যানেল, কোনওটাই দেখা যাবে না আপনার টিভি সেটে।

Updated By: Aug 16, 2013, 09:34 PM IST

বাড়িতে সেটটপ বক্স বসানোর চরম সময়সীমা বেঁধে দিল ট্রাই। তাহলে ২৩শে অগাস্ট পর্যন্ত সময় আছে আপনার হাতে। সেদিনের মধ্যে এই শর্ত পূরণ না করলে আপনি কালো তালিকাভূক্ত গ্রাহক হয়ে যাবেন। অর্থাত্ পে চ্যানেল বা ফ্রি চ্যানেল, কোনওটাই দেখা যাবে না আপনার টিভি সেটে।
রাজ্য সরকার এর আগে তিন বার পিছিয়ে দিয়েছে কলকাতার কেবল টিভি ডিজিটাইজেশন। এবার গ্রাহকদের পরিচিতি সংক্রান্ত ফর্ম জমা দেবার ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে কলকাতা। কন্ডিশনাল অ্যাকসেস সিস্টেম বা ক্যাস এবং ডিজিটাল অ্যাড্রেসিবল সিস্টেম বা ড্যাস এলাকাভুক্ত মোট ৩০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এসএমএস বা সাবস্ক্রাইবার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ নথিভুক্ত টেলিভিশন গ্রাহকের সংখ্যা মাত্র ১০ লক্ষ। অর্থাত্ মাত্র ৩৫ শতাংশ। ২৩ অগাস্টের মধ্যে যে সমস্ত গ্রাহক কনজিউমার অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম বা সিএএফ জমা দিতে পারবেন না, সেই সব গ্রাহক সে দিন মধ্যরাত থেকে ব্ল্যাক আউট হবেন। অর্থাত্ টিভি সেট থাকবে। কোনও চ্যানেল পরিষেবা থাকবে না। এমনকী, ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলগুলিও ব্লক করা হবে তার টিভি সেটে। অ্যানালগ পরিষেবায় যে চ্যানেলগুলি দেখা যায়, সেগুলিও আর দেখতে পারবেন না ওই ব্ল্যাকলিস্টেড গ্রাহক। সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কর্তব্য হিসেবে শহরের বাকি ২০ লক্ষ গ্রাহককে চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে ফর্ম ফিল আপ করে জমা দিতে বলেছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই। এই সময়সীমা কোনোমতেই বাড়ানো হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাই।
 
শুক্রবার শহরের সমস্ত মাল্টি সার্ভিস অপারেটর বা এমএসওদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাই কর্তারা। বৈঠকে এমএসওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লোকাল কেবল অপারেটর দের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করতে। কারণ বাড়ি বাড়ি গ্রাহকের কাছে ফর্ম পৌঁছে দেওয়া এবং ফিল আপের পর তা এমএসকেওকে জমা দেবার দায়িত্ব অপারেটরদের। তার পরেও কোনও গ্রাহকের কাছে যদি ফর্ম না পৌঁছয় তবে আপাতত তাকে ব্ল্যাক লিস্ট করবে ট্রাই। সেক্ষেত্রে টিআইডিআইএসএটি ট্রাইবুনালে আবেদন জানাতে পারবেন গ্রাহক। সেই আবেদনকে এফআইআর ধরে নিয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটর বা এমএসওর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করবে ট্রাই।
 
 
 

.