পড়ুয়াদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী মিছিলের পাল্টা তৃণমূলী মিছিলে কেন এসেছেন জানেন না অংশগ্রহণকারীরা
এ যেন হৃদয় আর মস্তিস্কের লড়াই। ছাত্রছাত্রীদের আবেগ ভাসা কলোরবকে চ্যালেঞ্জ জানানো তৃণমূলের অরগানাইজড মিছিলেও হাটল বহু মানুষ। শ্লোগান উঠল। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা হোক কলোরবকে স্পর্শ করতে পারলনা তৃণমূলের গর্জন। সেদিন বৃষ্টি ছিল। আজ আকাশে শরত্। তবু মিছিল বড় জোলো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস বুকের পরিকল্পিত ইঙ্গিত মিছিল গর্জাল, কিন্তু সে গর্জন মন ভেজালো না। নন্দন থেকে মেয়ো রোড থমকাল না সন্ধ্যা পর্যন্তও বিকেল তিনটের পর থেকেই জানিয়ে দিল ছাত্র আবেগ অরগানাইজড হতে পারে না।
কলকাতা: এ যেন হৃদয় আর মস্তিস্কের লড়াই। ছাত্রছাত্রীদের আবেগ ভাসা কলোরবকে চ্যালেঞ্জ জানানো তৃণমূলের অরগানাইজড মিছিলেও হাটল বহু মানুষ। শ্লোগান উঠল। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা হোক কলোরবকে স্পর্শ করতে পারলনা তৃণমূলের গর্জন। সেদিন বৃষ্টি ছিল। আজ আকাশে শরত্। তবু মিছিল বড় জোলো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস বুকের পরিকল্পিত ইঙ্গিত মিছিল গর্জাল, কিন্তু সে গর্জন মন ভেজালো না। নন্দন থেকে মেয়ো রোড থমকাল না সন্ধ্যা পর্যন্তও বিকেল তিনটের পর থেকেই জানিয়ে দিল ছাত্র আবেগ অরগানাইজড হতে পারে না।
যাদবপুরকাণ্ডে পাল্টা আন্দোলনে তৃণমূল। দলীয় পতাকা ছাড়াই আজ পথে নামে টিএমসিপি সহ তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন। অ্যাকাডেমি চত্বর থেকে প্রতিবাদ মিছিল পার্ক স্ট্রিটে হয়ে মেয়ো রোড পৌছয়। মেয়ো রোডে মিছিল আটকায় পুলিস। সেখানেই বসে পড়ে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। এরপর রাজভবনে যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে পঠনপাঠন শুরু হয় রাজ্যপালের কাছে সেই দাবি জানান প্রতিনিধিরা। মিছিলে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মী ও অধ্যাপকদের সংগঠন সামিল হলেও দেখা যায়নি তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের। যাদবপুরকাণ্ডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডাকে মিছিলে স্লোগান ছিল হাজার রকম। তবে তার চেয়েও বেশি ছিল বিভ্রান্তি। কেন মিছিল, তার উত্তর দিতে হিমশিম খেলেন মিছিলে যোগ দেওয়া অনেকেই। কেউ বলে বসলেন, এটি বহিরাগত উপাচার্যদের ঘেরাওয়ের প্রতিবাদ। কেউ আবার বললেন, যাদবপুরে লাইব্রেরী ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন তাঁরা।
চেনা-পরিচিত তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীদের কাউকেই দেখা যায়নি এদিনের মিছিলে। এক মিছিল...স্লোগান অনেক।
টিএমসিপি-র তরফে আগেই বলা হয়েছিল, কোনও দলীয় পতাকা থাকবে না প্রতিবাদ মিছিলে। ছিলও না। তবে ছিল রাজনীতি।
মুখ ফসকে 'দলের ক্ষতি' কথাটি বেরিয়ে যেতেই সক্রিয় পিছনে থাকা আরেক ছাত্র নেতা। আর কিছু বলার আগে তাই তড়িঘড়ি হাত চেপে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা গেল তাঁকে।
একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে ততক্ষণে ঘোর অস্বস্তিতে টিএমসিপি নেতারা। প্রশ্ন এড়াতে এরপরই আমাদের সামনে থেকে জোরজবরদস্তি সরিয়ে দেওয়া হতে থাকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের।
শেষপর্যন্ত শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়াতেই নির্দেশ এল ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে।
এরই মধ্যে আরেক প্রতিবাদীর প্রতিবাদ। আর তাঁর কথা শুনে রীতিমতো মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের।
মিছিল নিয়ে এই টানাপোড়েনের মাঝেই উঠে এসেছে আরেক বিতর্ক । সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবী, বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে যাদের দেখা যায় তাঁদের একজনকেও এদিনের মিছিলে দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি যাদবপুরকাণ্ডে তাঁরা শাসক দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে?