Baguiati Shocker: গোষ্ঠী কোন্দল! বাড়ি থেকে বের করে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

Baguiati Shocker:নিহতের মেয়ের বক্তব্য, এর আগেও অনেকবার বাবার উপরে হামলা হয়েছে। বারবার এঅনিয়ে মামলা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে গিয়েছি। দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছি

Updated By: Apr 28, 2024, 06:37 PM IST
Baguiati Shocker: গোষ্ঠী কোন্দল! বাড়ি থেকে বের করে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

অয়ন ঘোষাল: নিশানায় দলেরই কর্মীরা! খাস কলকাতায় এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বাগুইআটিতে। এক্ষেত্রে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। ওই ঘঠনা ঘটেছে বাগুইআটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন।

আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য! রেলের খাবার এবার মাত্র ২০ টাকায়! সঙ্গে 'কম্বো মিলে'র দারুণ অফারও...

স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পুলিস ফিরে যাওয়ার পরই এলাকায় বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে হামলা তালায় একটি গোষ্ঠী। সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা নামে এক যুবককে টেনে বের করে এনে রড, লাঠি দিয়ে বেধড়রক মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

দমদম কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের পিটিয়ে মারার ঘটনা পুলিসকে যথেষ্টই চাপ রেখেছে পুলিসকে। এলাকা যতক্ষণ না শান্ত হয় ততক্ষণ এলাকার পুলিস পিকেট না তুলতে পুলিসের কাছে নির্দেশ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই এলাকার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী দিতেও রাজি বিধাননগর পুলিস কমিশনারেট। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।

ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৩ জনেক গ্রেফাতার করা হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ঘটানার সঙ্গে ২২-২৫ জন জড়িত। বাকীদের খোঁজেও পুলিস তল্লাশি চালাবে বলে জানা যাচ্ছে।

যেভাবে ঘটনা ঘটেছে তা বেশ আকস্মিক। প্রথম কোনও একটি বিষয় নিয়ে দুপক্ষের বচসা ও সংঘর্ষ হয়।  তার পর পুলিসের এলাকায় পৌঁছানো এবং পুলিসের উপস্থিতিতেই বিদ্যুত্ ৃ বন্ধ করে দিয়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। তার পরেই পটলার হাত ধরে টেনে বাইরে এনে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

নিহতের মেয়ের বক্তব্য, এর আগেও অনেকবার বাবার উপরে হামলা হয়েছে। বারবার এঅনিয়ে মামলা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে গিয়েছি। দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছি। কোনও সাহায্য পাইনি। আমরা খুনেদের হাতে পেতে চাই।

এনিয়ে তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ওই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল আমার। ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় বিভিন্ন পরিষেবা দিয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই পুলিস ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীদের ধরে শাস্তি দেওয়া হবে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.