চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের, তাজবেঙ্গল থেকে ইউনিয়ন তোলার নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাজবেঙ্গল থেকে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। স্পষ্ট জানালেন ''মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দলের পতাকা নিয়ে এই কাজ করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কিছুরই অনুমতি তাঁরা দেবেন না। অন্যদিকে এই ঘটনায় উঠে এল তৃণমূল নেতা তথা পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের নাম। তাজের কর্মী ইউনিয়নের তৃণিমূলের হোতারা দাবি করলেন মদন বাবুর নির্দেশেই তাঁরা ইউনিয়ন করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাজবেঙ্গল থেকে তৃণমূলের কর্মী সংগঠন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন। স্পষ্ট জানালেন ''মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দলের পতাকা নিয়ে এই কাজ করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কিছুরই অনুমতি তাঁরা দেবেন না। অন্যদিকে এই ঘটনায় উঠে এল তৃণমূল নেতা তথা পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের নাম। তাজের কর্মী ইউনিয়নের তৃণিমূলের হোতারা দাবি করলেন মদন বাবুর নির্দেশেই তাঁরা ইউনিয়ন করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তাজ থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকা।
আজ, কর্তৃপক্ষের আপত্তি অগ্রাহ্য করে, কলকাতায় টাটা গ্রুপের পাঁচতারা হোটেল তাজবেঙ্গলে, নিজেদের কর্মী ইউনিয়ন চালু করেছিল শাসকদল।
সেইমতো আজ বিকেলে তাজবেঙ্গলের প্রবেশদ্বারে কর্মী ইউনিয়নের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভা উপলক্ষে সকাল থেকে পুরো হোটেল চত্বর তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। হোটেলের গেটে সভা করা এবং দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে তাজবেঙ্গল কর্তৃপক্ষের আপত্তি ছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। কিন্তু সেই প্রতিবাদের তোয়াক্কা না করে তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয় তাজবেঙ্গল চত্বর। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়নের বেশিরভাগ সদস্যই বহিরাগত। যদিও, আইএনটিটিইউসির দাবি করেছিল , তাজবেঙ্গলের একশো সত্তরজনের বেশি কর্মী তাঁদের সংগঠনে রয়েছেন।
পুরো ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাজবেঙ্গলে তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়নের সদস্যদের বেশির ভাগই বহিরাগত। যদিও তা মানতে চাননি আইএনটিটিইউসি নেতারা।
রবিবার সকাল থেকেই হোটেল চত্বর তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকায় ছয়লাপ করে দেওয়া হয়। আপত্তি করেছিল কর্তৃপক্ষ। বিকেলে গেটের সামনে সভাতেও তাঁরা রাজি ছিলেন না।
কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা ছিল , কর্মী ইউনিয়নের জেরে হোটেল তার বিশেষ মর্যাদা হারাতে পারে। তাজবেঙ্গল পাঁচতারা ডিলাক্স হোটেল। পরিষেবার মাপকাঠির ভিত্তিতে বড় হোটেলগুলিকে এধরনের তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মী ইউনিয়নের গুঁতোয় পরিষেবা ব্যাহত হলে সুনাম ও ব্যবসা, দুইই যে মার খাবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন কর্তৃপক্ষ।