'ওটা বঙ্গভঙ্গ দিবস', পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইস্যুতে তৃণমূলের নিশানায় Suvendu

পালটা তোপ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। 

Updated By: Jun 20, 2021, 07:40 PM IST
 'ওটা বঙ্গভঙ্গ দিবস', পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইস্যুতে তৃণমূলের নিশানায় Suvendu

নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, বর্তমান তৃণমূল সরকার বা বিরোধী দলগুলো এতদিন এই দিনটিকে গুরুত্ব দেয়নি। এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করল তৃণমূল। শুভেন্দু-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দশেখর রায় বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস না বলে, ওটাকে ওঁদের বঙ্গভঙ্গ দিবস উৎসব বলা উচিত, বাংলা ভাগ করার উৎসব পালন করছে ওঁরা।'

এমনকি যে শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যয়কে বাংলার জনক বলে দাবি করে বিজেপি, এদিন তাঁকেও নিশানা করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ অভিযোগ করেন, 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বাংলার জনক বলা একটা ঐতিহাসিক ভুল। বাংলার বিভাজনের জন্য দুটি সাম্প্রদায়িক দল দায়ী। একটা মুসলিম লিগ, অন্যটা হিন্দু মহাসভা। বাংলাকে ভাঙার জনক হচ্ছেন জিন্না ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।' পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ইস্য়ুতেও এদিন আরও একবার বিজেপিকে একহাত নেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িকতা করে রাজনীতি করা যাবে না। এরা প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে অমান্য করছে। সব জায়গায় ওঁরা পর্যুদস্ত হচ্ছে, ওঁরা বুঝতে পারছে ভারতবর্ষের মানুষ ওঁদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। ওঁরা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলছে।'

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে রাজ্য BJP-তে দ্বিমত! দিলীপ নন, বার্লার পাশে Suvendu

কেবল সুখেন্দুশেখরই নন, পশ্চিমবঙ্গে দিবস পালন ইস্যুতে  বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন বাহানা করে এই দিবস, ওই দিবস পালন করা হচ্ছে। ৩৫৬ ধারা ও অন্যান্য ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। মমতা বন্দোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। আর ওরা সমর্থন হারিয়েছেন। কারণ মেরে দেব, দেখে নেব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়। ২০২৪-এ মানুষ বলবে, আর নেই দরকার বিজেপি সরকার।' 

আরও পড়ুন: 'বাংলা ভাগ চায় না বিজেপি', সাংসদ জন বার্লার উল্টো সুর Dilip-এর গলায়

পালটা দেন শুভেন্দুও। ফিরহাদের উদ্দেশে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ওনাকে বলব জল পরিষ্কার করতে। আমপানে তো ১৫ দিন বিদ্যুৎ ছিল না। এবার তো দুয়ারে গঙ্গা। কিছুদিন গৃহবন্দি, হাসপাতালবন্দি হয়ে কাটিয়েছেন। এরপর চিটফান্ডের বন্দি হবেন। অপেক্ষা করুন।'

.