Calcutta University: তালাবন্দি উপাচার্য! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ TMCP-র...
রাজ্যপালের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শান্তা দত্ত দে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এর আগেই সিন্ডিকেট বৈঠক করেছিলেন তিনি। কিন্ত আজ, শুক্রবার দুপুরে যখন ফের সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকেন, তখন উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য়রা। শেষপর্যন্ত উপাচার্যের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: সিন্ডিকেট বৈঠক 'বেআইনি'? খোদ উপাচার্যকেই ঘেরা করে রেখেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য়রা। শোরগোল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। 'যাঁরা এখানে এসে জড়ো হয়েছে এবং তাঁদের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু ছাত্র নয়', পাল্টা দাবি উপাচার্যের।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবছর ১৫ হাজার! ক্লাবগুলি ফের অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের...
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যপালের নির্দেশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শান্তা দত্ত দে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এর আগেই সিন্ডিকেট বৈঠক করেছিলেন তিনি। কিন্ত আজ, শুক্রবার দুপুরে যখন ফের সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকেন, তখন উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য়রা। শেষপর্যন্ত উপাচার্যের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে ঘরের ভিতরে তখন উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্যরা! শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ঘেরাও চলছে। বিক্ষোভের জেরে সিন্ডিকেট বৈঠক আর হয়নি। আন্দোলনকারীদের দাবি, 'উপাচার্য একের এক বেআইনি সিন্ডিকেট মিটিং করছেন। রাজ্য সরকার উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও, আজকে বেআইনি সিন্ডিকেটমিটিং করছেন। উপাচার্যের বয়স হয়ে গিয়েছেন। তিনি অবসর নিয়েছেন। অথচ সিন্ডিকেট মিটিং করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পাস করিয়ে নিচ্ছেন'।
আরও পড়ুন: Acropolis Mall: অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক কাটিয়ে সপ্তাহান্তেই দরজা খুলছে অ্যাক্রোপলিস
উপাচার্যের পাল্টা দাবি, 'যাঁরা এখানে জড়ো হয়েছে এবং তাঁদের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কেউ ছাত্র নয়। এরা পাশ করে গিয়েছে। এরা গন্ডগোলটা সৃষ্টি করেছে। আগের সিন্ডিকেটগুলিতেও করেছিল, আজকে তিক্ততা একটু বেশি। কোনওবার সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে'। তিনি বলেন, 'জোড়াসাঁকো থানার ওসি-কে ফোন করেছি। পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছি। ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করুক চাই না। কিন্তু গেটটা খুলে আমাদের বের করাার ব্যবস্থাটাও তো করতে হবে'।
উপাচার্যের আরও বক্তব্য, 'ওরা আইনি কি বেআইনি বিচার করতে বসেছে! যেখানে সবাই জানে, সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশে উপাচার্য অবসরের বয়স ৭০ বছর। আমাদের রাজ্য সরকার বা ইউজিসির নিয়মেই উপাচার্যের অবসরের বয়স ৭০ বছর। আমি আচার্যের নির্দেশেই কিন্তু উপাচার্যের পদে আছি। কারও প্ররোচনায়, অবশ্য রাজনৈতিক দলে..এরা এটা করছে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)