গণনা স্থগিতই, তবু আলাপনের ওপর চাপ দিল না তৃণমূল
কাল পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। ভোটগণনার দিনও ঘোষণা করেননি। তবুও দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন নতুন নির্বাচন কমিশনারের ওপর তেমন চাপ তৈরি করেনি তৃণমূল। দীর্ঘক্ষণ কমিশনের দফতরে থাকলেও কোনও তৃণমূল নেতাই এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাননি।
![গণনা স্থগিতই, তবু আলাপনের ওপর চাপ দিল না তৃণমূল গণনা স্থগিতই, তবু আলাপনের ওপর চাপ দিল না তৃণমূল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/10/07/43504-mamataalapan.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: কাল পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। ভোটগণনার দিনও ঘোষণা করেননি। তবুও দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন নতুন নির্বাচন কমিশনারের ওপর তেমন চাপ তৈরি করেনি তৃণমূল। দীর্ঘক্ষণ কমিশনের দফতরে থাকলেও কোনও তৃণমূল নেতাই এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাননি।
ভোট গণনা স্থগিত করার পরই সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের ওপর চাপ বাড়িয়েছিল তৃণমূল। শুরু হয়েছিল ধরনা। তৃণমূলের তাবড় নেতারা গিয়ে দাবি জানান অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে ভোটের দিন। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কমিশনারের কুর্সি ছাড়েন সুশান্তরঞ্জন। তৃণমূল জানিয়ে ভোট গণনা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ধরনা চলবে।
তৃণমূলের এই যুদ্ধং দেহী মেজাজ কিন্তু উধাও হয়ে যায় বুধবার।এদিনই নতুন কমিশনারের দায়িত্ব নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা দেড়টা থেকে দীর্ঘক্ষণ কমিশনের দফতরেও ছিলেন তিনি। ধরনাও জারি ছিল তৃণমূলের। তবে এদিন আর ভোট গণনার দিন জানতে নতুন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি কোনও তৃণমূল নেতাই। সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের ওপর লাগাতার চাপ তৈরির পর নতুন কমিশনারকে হঠাত্ কেন ছাড়?
তৃণমূলের এই যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের দাবি, ভোটগণনার দিন ঘোষণা করা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে কমিশনের সংঘাত। অথচ সেই দিন ঘোষণা এখনও হয়নি। তাহলে কী রাজ্য সরকারের বিশ্বস্ত বলেই কী তাকে ছাড় দিচ্ছে শাসক দল।