মমতার 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' গড়ার ডাকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি রাহুলের
"দেশবাসীর কাছে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে ব্রিগেড। কাল একটা নতুন সকাল আসবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই ব্রিগেড। কেন্দ্রে মোদী সরকারকে উত্খাত করতে অবিজেপি জো়ট গড়ার ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডে সেই মহাজোটের প্রথম শক্তিপরীক্ষা। তার আগেই শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' গড়ার ডাককে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন, উনিশের ব্রিগেড: সকাল থেকেই গরম ভাত-ডিমের ডালনায় পেট ভরানোর সুবন্দোবস্ত
চিঠিতে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদীর মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে মানুষ বিভ্রান্ত। প্রতিবাদে মানুষ আজ পথে নেমেছে। দিকভ্রষ্ট মোদী সরকারের উপর দেশবাসী আর ভরসা রাখতে পারছে না। মানুষ নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখছে। এমন ভারত যেখানে সবাই এক। মোদী সরকারের মিথ্যার বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিজেপিকে হঠিয়ে সব বিরোধী দল-ই ঐক্যবদ্ধভাবে ভারত গড়তে চায়।
আরও পড়ুন, মঞ্চ তৈরি, ছবির মতো সেজে উঠেছে উনিশের ব্রিগেড
রাহুল লিখেছেন, "ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার সেই ডাক দিয়েছেন মমতাদি। তাঁর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।" তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে আগামীকালের অবিজেপি ব্রিগেড দেশবাসীর কাছে সেই ঐক্যের বার্তা-ই পৌঁছে দেবে বলে চিঠিতে আশাপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। আশাপ্রকাশ করেছেন, কাল একটা 'নতুন সকাল' আসবে বলে।
মমতাকে রাহুলের সমর্থন বার্তা
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১৯-এর ব্রিগেড ধারেভারে ছাপিয়ে যাবে বামফ্রন্টের ৭৭-এর ব্রিগেডকে। ব্রিগেড হবে ঐতিহাসিক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১৯-এর ব্রিগেড থেকেই বিজেপির মৃত্যুঘণ্টা বাজবে। এই প্রসঙ্গে তুলনা টেনেছেন ১৯৯২-এর ব্রিগেডকে। ৯২-এর ব্রিগেড থেকেই বামফ্রন্টের বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মহাসচিব।