শাসক দলের নেতা বলেই কি জামিন পেলেন তিলজলা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত?
মাত্র দু'দিন আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন তিলজলা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সন্তোষ রায়। অথচ, পুরোপুরি অন্ধকারে তিলজলা থানা। শাসকদলের নেতা বলেই কি সহজে জামিন? উঠছে প্রশ্ন।
এমাসের ২২ তারিখ রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে তিলজলা। প্রমোটার অপু দত্তের খোঁজে পিস্তল উঁচিয়ে সুনীলনগরে দাপিয়ে বেড়ায় চোলাই পাপ্পু। থানার সামনেই চলেছিল গুলি। গোটা অপারেশনে আগাগোড়া তার সঙ্গী ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ রায়। এলাকায় জাভেদ খানের অনুগামী বলে পরিচিত সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে ওফআইআর দায়ের হলেও, এতদিন তার টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিস।
অথচ, তিলজলা থানাকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনও নিয়ে নিয়েছে সন্তোষ। ২দিন আগে আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে সন্তোষ রায়। জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ ছিল। তারপরও জামিনের বিরোধিতা করেননি সরকারি আইনজীবী। জামিন পেয়ে যান সন্তোষ রায়।
গোটা বিষয়টি নিয়ে নাকি কিছুই জানা ছিল না তিলজলা থানার। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে স্থানীয় থানাকে অন্ধকারে রেখে জামিন পেয়ে গেলেন সন্তোষ? শাসকদলের নেতা বলেই সব দেখেও না দেখার ভান ? আত্মসমর্পণ থেকে জামিন গোটাটাই কি পরিকল্পিত?