এক শিশুর বাবা হিসেবে দাবিদার তিন! ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের বেসরকারি হাসপাতালে

হাতে প্রমাণ পেয়ে পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন একটু স্বস্তি বোধ করছেন তখনই কাহানি মে নয়া টুইস্ট।

Updated By: Jul 22, 2019, 09:41 PM IST
এক শিশুর বাবা হিসেবে দাবিদার তিন! ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের বেসরকারি হাসপাতালে

তন্ময় প্রামানিক

সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে ফেলে পালানোর নজির আছে। কিন্তু একটি শিশুকন্যার পিতৃত্বের দাবিদার নিয়ে হাজির তিন-তিন জন বাবা! এককথায় বেনজির ঘটনা। আর এই বিচিত্র গোলযোগে মাথায় হাত শহরের নামী বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শিশু কন্যার বাবা কে? জেরবার পুলিসও। শিশু কন্যার মা অবশ্য নিরব!

 

বাঘাযতীনের গাঙ্গুলীবাগানের বেসরকারি হাসপাতালে ধুন্ধুমার কাণ্ড। উত্তরপাড়ার স্বপ্না মৈত্রকে শনিবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করান রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা দীপঙ্কর পাল। স্বপ্নার স্বামী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন দীপঙ্কর। রবিবার স্বপ্নার এক কন্যা সন্তান হয়। এরপরই গোলমাল বাঁধে। হোয়াটসঅ্যাপে স্বপ্নার স্ট্যাটাস আপডেট দেখে হাসপাতালে হাজির হন নিউটাউনের বাসিন্দা হর্ষ ক্ষেত্রী। দাবি করেন মেয়ে ও স্ত্রী তাঁর। অথৈ জলে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন - স্ত্রীকে খুনে স্বামী ও তাঁর প্রেমিকাকে ফাঁসির সাজা শোনাল শিয়ালদা আদালত

বাধ্য হয়ে নেতাজিনগর থানায় খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিউটাউনের বাসিন্দা হর্ষ অবশ্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট সহ কয়েকটি নথি দেখান। রবিবার দুই জন দাবিদার হতেই ঘরে কাউকেই ঢুকতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা কর্মী বসিয়ে দেওয়া হয়। যদিও হাতে প্রমাণ পেয়ে পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন একটু স্বস্তি বোধ করছেন তখনই কাহানি মে নয়া টুইস্ট। সদ্যোজাত শিশুকন্যা তাঁর - এই দাবি নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন প্রদীপ রায় নামে আরও এক ব্যক্তি। জটিলতা বাড়ায় আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বপ্না বা তাঁর মা এই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মহিলার কেবিনের বাইরে বসে যায় পুলিস পিকেট। কিন্তু মেয়ে আসলে কার? উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিস।

.