"এই লড়াই যতটা শারীরিক ততটাই মানসিক," করোনাকে হারিয়ে উপলব্ধি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের
করোনা- যে শব্দটার সঙ্গেই যেন জড়িত একরাশ ভয়, আশঙ্কার মেঘ। কিন্তু এই লড়াইটা যতটা শারীরিক, ঠিক ততটাই মানসিক, মনে করছেন স্বপন দেবনাথ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজের সুবাদে করোনা পরিস্থিতিকে শুরু থেকেই সামলাতে ব্যস্ত তাঁরা। কিন্তু এভাবে যে নিজেও মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। "স্বয়ং মৃত্যুকে দেখলাম চোখের সামনে থেকে," করোনাকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তাই এমনটাই বলছেন তিনি।
করোনা- যে শব্দটার সঙ্গেই যেন জড়িত একরাশ ভয়, আশঙ্কার মেঘ। কিন্তু এই লড়াইটা যতটা শারীরিক, ঠিক ততটাই মানসিক, মনে করছেন স্বপন দেবনাথ। বেলেঘাটা আইডিতে গত ১০ দিন ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর উপলব্ধি, "এই যুদ্ধ আমার পক্ষে কঠিন হলেও মনের জোর রেখেছি সবসময়। সারা জীবন লড়াই করেছি এবারও করলাম। কী ভীষণ লড়াই শারীরিক এবং মানসিক!"
কিন্তু এই হার না মানা মনের জোর পেলেন কোথা থেকে? উত্তরে স্বপনবাবু বললেন,"খাল বিল উতসবের সময় চুনোকালীর পাথরের মূর্তি স্থাপন করেছিলাম। সেই পাথরের কালীকে মনে প্রাণে ডেকেছেন বারবার। সেই সঙ্গে ছিল দিদির ভালোবাসা।" আর এই দুইয়ে ভর করেই মানসিক লড়াইয়ের পাহাড়টা পার করেছেন তিনি।
আর তাঁর এই মনের জোর আরও বাড়িয়ে দেন চিকিত্সকরা। তাঁর দেখভাল করা চিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমাকে দেখভাল করা চিকিত্সক সত্যিই এক্সপার্ট। দারুণভাবে দেখেছেন আমাকে। শুধু তিনিই নন, পুরো বেলেঘাটা আইডির প্রত্যেকে সাহস জুগিয়েছেন।"
তবে এর মধ্যেও কখনও কখনও বেশ কিছুটা ভয়ও পেয়েছেন, স্বীকার করলেন স্বপন দেবনাথ। "আইসিইউতে যখন দেখছি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মানুষ হেরে যাচ্ছে, তখন মনে হত এরপর বুঝি আমার পালা!"
তখনই আবার নিজেকে পজিটিভ চিন্তায় ডুবিয়ে ফেলতেন তিনি। আর পজিটিভ চিন্তাতেই শেষমেশ করোনা নেগটেভ হলেন স্বপন দেবনাথ। হাসতে হাসতে বললেন, "সব ঠিক হলে প্রথম যেদিন বেরোতে পারব সেদিনই চুনোকালীর মন্দিরে যাব, সত্যি পাথরের প্রাণ আছে।"
আরও পড়ুন : চলছিল হোর্ডিং লাগানো, চিড়িয়াখানায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২, আশঙ্কাজনক ১